2 তীমথিয়
গ্রন্থস্বত্ব
রোমের কারাগার থেকে মুক্তি পাবার পরে এবং তার চতুর্থ মিশনারি যাত্রার পরের দিন কালের মধ্যে তিনি 2 তিমথি লিখেছিলেন, পৌলকে পুনরায় সম্রাট নীরোর অধীনে বন্দী করা হলো। এটা এই দিনের র মধ্যে ছিল যে তিনি 2 তিমথি লিখেছিলেন। তার প্রথম কারাবাসের তুলনায়, যখন তিনি একটি “ভাড়া বাড়িতে” থাকতেন (প্রেরিতের কার্য 28:29), তখন তিনি একটি ঠান্ডা অন্ধকূপের মধ্যে অবসন্ন হয়ে ছিলেন (4:13), এক সাধারণ দুষ্কর্মকারীর ন্যায় শৃঙ্খলিত ছিলেন (1:16; 2:9)। পৌল জানতেন যে তার কার্য করা হয়ে গেছে এবং তার জীবন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।
রচনার সময় এবং স্থান
আনুমাণিক 66 থেকে 67 খ্রিষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়।
পৌল রোমে দ্বিতীয় কারাবাসের মধ্যে ছিলেন এবং তিনি এই পত্রটি লিখলেন যখন তিনি শহীদ হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।
গ্রাহক
দ্বিতীয় তিমথিতে তিমথি এই পত্রটির প্রাথমিক পাঠক ছিলেন, কিন্তু নিশ্চিতরূপে তিনি মণ্ডলীর সাথে বিষয় বস্তু ভাগ করেছিলেন।
উদ্দেশ্য
চূড়ান্ত উত্সাহ প্রদান এবং উপদেশ দানের সাথে তীমথিকে ছেড়ে আসা পৌলের কার্যকে এগিয়ে নিয়ে যায় যা তিনি তার ওপরে দৃঢ়তার সাথে ন্যস্ত করেছিলেন (1:3-14), ধ্যান কেন্দ্রিত (2:1-26) এবং সংরক্ষিত করেছিলেন (3:14-17; 4:1-8)।
বিষয়
বিশ্বস্ত সেবাকার্যের প্রতি দায়িত্ব
রূপরেখা
1. সেবাকার্য়ের জন্য প্রেরণা — 1:1-18
2. সেবাকার্য়ের মধ্যে মানদণ্ড — 2:1-26
3. মিথ্যা শিক্ষার বিরুদ্ধে সাবধানবাণী — 3:1-17
4. উত্সাহবর্ধন ও আশীর্বাদের বাক্য — 4:1-22
তীমথিয়ের কাছে প্রেরিত পৌলের দ্বিতীয় চিঠি।
1
শুভেচ্ছা। প্রভুতে স্থির ও বিশ্বস্ত থাকতে আদেশ।
পৌল, খ্রীষ্ট যীশুতে জীবনের প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী ঈশ্বরের ইচ্ছায় খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত। আমার প্রিয় পুত্র তীমথিয়কে, পিতা ঈশ্বরও আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশু তোমায় অনুগ্রহ, দয়া ও শান্তি দান করুন। ঈশ্বর, যাঁর আরাধনা আমি বংশ পরম্পরায় শুচি বিবেকে করে থাকি, তাঁর ধন্যবাদ করি যে, আমার প্রার্থনায় সবদিন তোমাকে স্মরণ করি, তোমার চোখের জলের কথা স্মরণ করে রাত দিন তোমাকে দেখার আকাঙ্খা করছি, যেন আনন্দে পূর্ণ হই, তোমার হৃদয়ের প্রকৃত বিশ্বাসের কথা স্মরণ করছি, যা প্রথমে তোমার দিদিমা লোয়ীর ও তোমার মা উনীকীর অন্তরে বাস করত এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, তা তোমার অন্তরেও বাস করছে। এই জন্য তোমাকে স্মরণ করিয়ে দিই যে, তোমার উপরে আমার হাত রাখার জন্য ঈশ্বরের যে অনুগ্রহ দান তোমার মধ্যে আছে, তা জাগিয়ে তোলো। কারণ ঈশ্বর আমাদেরকে ভয়ের মন্দ আত্মা দেননি, কিন্তু শক্তির, প্রেমের ও সুবুদ্ধির আত্মা দিয়েছেন। অতএব আমাদের প্রভুর সাক্ষ্যের বিষয়ে এবং তাঁর বন্দী যে আমি, আমার বিষয়ে তুমি লজ্জিত হয়ো না, কিন্তু ঈশ্বরের শক্তি অনুসারে সুসমাচারের সঙ্গে কষ্ট সহ্য কর, তিনিই আমাদেরকে পাপ থেকে উদ্ধার করেছেন এবং পবিত্র আহ্বানে আহ্বান করেছেন, আমাদের কাজ অনুযায়ী নয়, কিন্তু নিজের পরিকল্পনা ও অনুগ্রহ অনুযায়ী সব কিছু পূর্বকালে খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদের দেওয়া হয়েছিল, 10 কিন্তু এখন আমাদের উদ্ধারকর্তা খ্রীষ্ট যীশুর আগমনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছেন, যিনি মৃত্যুকে শক্তিহীন করেছেন এবং সুসমাচারের মাধ্যমে অনন্ত জীবন, যা কখনো শেষ হবে না তা আলোতে নিয়ে এসেছেন। 11 সেই সুসমাচারের জন্য আমি প্রচারক, প্রেরিত ও শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছি। 12 এই জন্য এত দুঃখ সহ্য করছি, তবুও লজ্জিত হই না, কারণ যাকে বিশ্বাস করেছি, তাঁকে জানি এবং আমি নিশ্চিত যে, আমি তাঁর কাছে যা কিছু জমা রেখেছি (বা তিনি যে দায়িত্ব দিয়েছেন), তিনি সেই দিনের র জন্য তা রক্ষা করতে সমর্থ। 13 তুমি আমার কাছে যা যা শুনেছ, সেই সত্য শিক্ষার আদর্শ খ্রীষ্ট যীশুর সম্মন্ধে বিশ্বাসে ও প্রেমে ধরে রাখ।
ঈশ্বর দ্বারা একজন কারিগরকে অনুমোদন।
14 তোমার কাছে যে মূল্যবান জিনিস জমা আছে, যা ঈশ্বর তোমায় সমর্পণ করেছেন, যিনি আমাদের অন্তরে বাস করেন, সেই পবিত্র আত্মার সাহায্যে তা রক্ষা কর। 15 তুমি জান, আশিয়া প্রদেশে যারা আছে, তারা সবাই আমাকে একা ছেড়ে চলে গেছে, তাদের মধ্যে ফুগিল্ল ও হর্ম্মগিনিও আছে। 16 প্রভু অনীষিফরের পরিবারকে দয়া দান করুন, কারণ তিনি আমাকে অনেকবার সাহায্য করেছেন এবং আমি শিকলে বন্দী আছি বলে তিনি কখনো তার জন্য লজ্জিত হননি, 17 বরং তিনি রোম শহরে আসার পর ভাল করে অনুসন্ধান করে আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, 18 প্রভু তাঁকে এই আশীর্বাদ করুন, যেন সেই দিন তিনি প্রভুর কাছে দয়া পান, আর ইফিষে তিনি কত সেবা করেছিলেন, তা তুমি ভাল করেই জানো।