12
1 তোমার যৌবনকালে তোমার সৃষ্টিকর্ত্তাকে স্মরণ কর,  
সমস্যার দিন আসার আগে এবং সেই বছর আসার আগে যখন তুমি বলবে,  
“এতে আমার কোন আনন্দ নেই,”   
2 সূর্য্যের,  
চাঁদের এবং তারাদের আলোর আগে অন্ধকার বৃদ্ধি পাবে  
এবং বৃষ্টির পরে কালো মেঘ ফিরে আসবে।   
3 সেই দিনের যখন প্রাসাদের রক্ষীরা কাঁপবে  
এবং শক্তিশালী লোক নত হবে এবং  
সেই মহিলারা যারা পেষণ করা বন্ধ করে  
কারণ তারা সংখ্যা কম এবং  
যারা জানলা দিয়ে দেখত তারা আর পরিষ্কার দেখতে পায় না।   
4 সেই দিন হবে যখন রাস্তার দরজা বন্ধ থাকবে  
এবং পেষণের শব্দ বন্ধ হবে,  
যখন লোকেরা পাখির আওয়াজে চমকে উঠবে  
এবং মেয়েদের গানের আওয়াজ কমে যাবে  
মৃত্যুর মধ্যে সমস্ত কর্মের অবসান,  
অথবা জীবনের এমন একটা সময়  
যখন একজন ব্যক্তি ভালো করে আওয়াজ  
আর শুনতে পারে না কিন্তু  
অদ্ভুতভাবে উচ্চ তীক্ষ্ণ কন্ঠের দ্বারা বিঘ্নিত হয়।   
5 সেই দিন হবে যখন মানুষ উঁচু জায়গা ভয় পাবে  
এবং রাস্তার ভয়ে ভয় পাবে  
এবং যখন বাদাম গাছে ফুল ফুটবে  
এবং যখন ফড়িং নিজেকে জোর করে নিয়ে চলবে  
এবং যখন স্বাভাবিক ইচ্ছা ব্যর্থ হবে।  
তখন মানুষ তার অনন্ত ঘরে যাবে এবং শোকার্তরা রাস্তায় যাবে।   
6 রূপার তার ছেঁড়ার আগে  
বা সোনার বাটি চূর্ণ হওয়ার আগে  
বা উনুইয়ের ধরে কলসি ভাঙার আগে  
বা কুয়োর জল তোলার চাকা ভাঙার  
আগে তোমার সৃষ্টিকর্ত্তাকে স্মণ কর।   
7 ধূলো মাটিতে ফিরে যাওয়ার আগে  
যেখান থেকে তা এসেছিল  
এবং আত্মা ঈশ্বরের কাছে ফিরে যাবে যিনি তা দিয়েছিলেন।   
8 শিক্ষক বলেছেন, “অসারের অসার,” সব কিছুই অসার।   
উপসংহার 
 
9 শিক্ষক জ্ঞানী ছিলেন এবং তিনি লোকেদের জ্ঞান শিক্ষা দিতেন। তিনি অনুশীলন এবং গভীর চিন্তা করতেন এবং অনেক নীতিকথা লিখতেন।  
10 শিক্ষক উপযুক্ত শব্দের ব্যবহার করে লিখতে চাইছেন, সত্যের ন্যায্য কথা লিখতে চাইছেন।  
11 জ্ঞানীদের কথা সূঁচালো লাঠির মত। মালিকদের নীতি কথা সকল পেরেকের মত গভীরে যায়, যা একজন পালকের দ্বারা শেখানো হয়েছে।  
12 আমার ছেলে, কিছু বিষয়ে বেশি সাবধান হও: অনেক বই তৈরী করা, যার শেষ নেই। অনেক অনুশীলন শরীরে ক্লান্তি নিয়ে আসে।   
13 শেষ বিষয় হল, সবকিছু শোনার পর,  
তোমরা অবশ্যই ঈশ্বরকে ভয় কর এবং তাঁর আদেশ পালন কর,  
কারণ এটাই মানবজাতির সমস্ত কর্তব্য।   
14 কারণ ঈশ্বর প্রত্যেকটি কাজ বিচারে আনবেন,  
সমস্ত গোপন বিষয় আনবেন,  
ভালো কি খারাপ সব আনবেন।