22
ইলীফস। 
 
1 তারপর তৈমনীয় ইলীফস উত্তর দিলেন এবং বললেন,   
2 “মানুষ কি ঈশ্বরের উপকারী হতে পারে?  
জ্ঞানী মানুষ কি তাঁর জন্য উপকারী হতে পরে?   
3 যদি তুমি ধার্মিক হও তাতে কি ঈশ্বর খুশি হন?  
যদি তুমি তোমার রাস্তা সঠিক কর তাতে কি তাঁর লাভ হয়?   
4 তাঁর প্রতি তোমার শ্রদ্ধার জন্য কি তিনি তোমাকে ধমক দেন  
এবং তোমাকে বিচারে নিয়ে জান?   
5 তোমার পাপ কি গুরুতর নয়?  
তোমার অপরাধের কি সীমা নেই?   
6 কারণ তুমি তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে অকারণে বন্দক দাবি করতে;  
তুমি উলঙ্গদের প্রয়োজনের কাপড় তুমি ছিনতাই করতে।   
7 তুমি ক্লান্তদের জল দিতে না;  
তুমি ক্ষুদিতদের খাবার দিতে অস্বীকার করতে,   
8 যদিও তুমি একজন ক্ষমতাশালী লোক,  
পৃথিবী অধিকার করেছ,  
যদিও তুমি, একজন সম্মানিত ব্যক্তি,  
এতে বাস করতে।   
9 তুমি বিধবাদের খালি হাতে বিদায় দিয়েছ;  
পিতৃহীনের হাত ভেঙ্গেছ।   
10 এই জন্য, তোমার চারিদিকে ফাঁদ আছে  
এবং হঠাৎ ভয় তোমায় কষ্ট দেয়;   
11 সেখানে অন্ধকার,  
যাতে তুমি দেখতে না পাও,  
অনেক জল তোমায় ঢেকে রেখেছে।   
12 ঈশ্বর কি সর্বোচ্চ স্বর্গে থাকেন না?  
তারাদের উচ্চতা দেখ, সেগুলো কত উঁচু!   
13 তুমি বলছ, ‘ঈশ্বর কি জানে?  
তিনি কি ঘন অন্ধকার থেকে বিচার করতে পারেন?   
14 ঘন মেঘ তাঁকে ঢেকে দিচ্ছে,  
যাতে তিনি আমাদের দেখতে না পান;  
তিনি স্বর্গের চারিদিকে হাঁটেন।’   
15 তুমি কি সেই পুরানো পথেই চলবে,  
যাতে পাপী লোকেরা হেঁটেছে   
16 যাদের কে দিনের র আগে টেনে নেওয়া হয়েছিল,  
তাদের যাদের ভিত নদীর জলের মত ভেসে গেছিল,   
17 যারা ঈশ্বরকে বলে,  
‘আমাদের থেকে চলে যাও;’ যারা বলে,  
‘সর্বশক্তিমান আমাদের কি করবেন?’   
18 তবুও তিনি তাদের ঘর ভাল জিনিসে পূর্ণ করতেন;  
পাপীদের পরিকল্পনা আমার থেকে অনেক দূরে।   
19 ধার্মিক তাদের ভাগ্য দেখে এবং আনন্দ করে;  
নির্দোষ তাদের অবজ্ঞা করে হাঁসে।   
20 এবং বলে,  
‘সত্যিই যারা আমাদের বিরুদ্ধে ওঠেছে তারা ধ্বংস হয়েছে;  
আগুন তাদের সম্পত্তি গ্রাস করেছে।’   
21 এখন ঈশ্বরের সঙ্গে একমত হও  
এবং তাঁর সঙ্গে শান্তিতে থাক; এইভাবেই,  
মঙ্গল তোমার কাছে আসবে।   
22 আমি তোমাদের অনুরোধ করি,  
তাঁর মুখের নির্দেশ গ্রহণ কর;  
তোমাদের হৃদয়ে তাঁর কথা জমিয়ে রাখ।   
23 যদি তুমি সর্বশক্তিমানের কাছে ফিরে আস, তুমি গঠিত হবে,  
যদি তুমি অধার্মিকতা তোমার তাঁবু থেকে দূরে রাখ।   
24 তোমার সম্পত্তি ধূলোয় রাখ,  
স্রোতের পাথরের মধ্যে ওফীরের সোনা রাখ,   
25 এবং সর্বশক্তিমান হবেন তোমার সম্পত্তি,  
তোমার কাছে মূল্যবান রূপার হবেন।   
26 কারণ তখন তুমি সর্বশক্তিমানে আনন্দ করবে;  
তুমি তোমার মুখ ঈশ্বরের দিকে তুলবে।   
27 তুমি তাঁর কাছে তোমার প্রার্থনা করবে  
এবং তিনি তোমার প্রার্থনা শুনবেন;  
তুমি তোমার মানত পূর্ণ করবে।   
28 তুমি যা কিছু আদেশ করবে  
এবং তা তোমার জন্য করা হবে;  
তোমার পথে আলো উজ্জ্বল হবে।   
29 ঈশ্বর অহঙ্কারীদের নত করেন  
এবং তিনি নত চোখদের রক্ষা করেন।   
30 এমনকি যে ব্যক্তি নির্দোষ নয় তাকেও তিনি উদ্ধার করবেন,  
যে তোমার হাতের দ্বারা উদ্ধার পাবে।”