31
1 “আমি আমার চোখের সঙ্গে চুক্তি করেছি;  
তবে আমি কীভাবে কুমারী মেয়ের দিকে কামনার চোখে তাকাব?   
2 কারণ উর্ধবাসী ঈশ্বরের থেকে কি ভাগ্য পাওয়া যায়,  
উর্ধের সর্বশক্তিমানের থেকে কি উত্তরাধিকার পাওয়া যায়?   
3 আমি প্রায়ই চিন্তা করতাম যে অধার্মিকদের জন্য বিপদ  
এবং দুষ্টতার কর্মীদের জন্য ধ্বংস।   
4 ঈশ্বর কি আমার পথ জানেন না  
এবং আমার সমস্ত পায়ের চিহ্ন গোনেন না?   
5 আমি যদি মিথ্যার পথে চলে থাকি,  
আমার পা যদি প্রতারণার জন্য দৌড়ে থাকে,   
6 এমনকি আমায় তুলাযন্ত্রে পরিমাপ করা হোক  
যাতে ঈশ্বর আমার সততা জানতে পারেন,   
7 যদি আমার পা সঠিক পথ থেকে ঘুরে থাকে,  
যদি আমার হৃদয় আমার চোখের পিছনে হেঁটে থাকে,  
যদি কোন অপবিত্রতার ছাপ আমার হাতে লেগে থাকে,   
8 তবে আমি রোপণ করি  
এবং অন্য কেউ ফল ভোগ করুক;  
সত্যি, আমার জমি থেকে ফসল সমূলে উপড়ে নেওয়া হোক।   
9 যদি আমার মন অন্য মহিলার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থেকে,  
যদি আমি আমার প্রতিবেশীর দরজার কাছে তার স্ত্রীর জন্য লুকিয়ে থাকি,   
10 তাহলে আমার স্ত্রী অন্য লোকের জন্য শস্য পেষণ করুক  
এবং অন্য লোক তাকে ভোগ করুক।   
11 কারণ তা হবে এক সাংঘাতিক অপরাধ;  
সত্যি, এটা একটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।   
12 কারণ সেটা একটা আগুন যা পাতালের সবকিছু গ্রাস করে  
এবং তা আমার সমস্ত ফসল পুড়িয়ে দিত।   
13 আমি যদি আমার দাস ও দাসীর ন্যায়বিচারের আবেদন অগ্রাহ্য করি,  
যখন তারা আমার কাছে অভিযোগ করে,   
14 তখন আমি কি করব যখন ঈশ্বর আমায় দোষী করতে উঠবেন?  
যখন তিনি আমার বিচার করতে আসবেন,  
আমি তাঁকে কি উত্তর দেব?   
15 যিনি আমায় মায়ের গর্ভে বানিয়ে ছিলেন,  
তিনিই কি তাদেরও বানান নি?  
একই জন কি আমাদের সবাইকে গর্ভে গঠন করেন নি?   
16 আমি যদি গরিবদের তাদের বাসনা থেকে বঞ্চিত করে থাকি,  
অথবা আমি যদি বিধবার চোখ অন্ধ হওয়ার কারণ হয়ে থাকি,   
17 অথবা আমি যদি আমার খাবার একা খেয়ে থাকি  
এবং যদি পিতৃহীনদের তা খেতে না দিয়ে থাকি,   
18 বরং, আমার যুবক অবস্থা থেকে,  
অনাথ যেমন তার পিতার কাছে তেমনি আমার সঙ্গে বড় হয়েছে  
এবং আমি তার মাকে পথ দেখিয়েছি,  
আমি সারা জীবন বিধবাকে সাহায্য করে এসেছি,   
19 আমি যদি দেখি কেউ কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে,  
অথবা আমি যদি দেখি যে দরিদ্রের কোন কাপড় নেই;   
20 যদি তার হৃদয় আমায় আর্শীবাদ না করে থাকে  
যদি সে কখনও আমার মেষের লোমে তার শরীর গরম না করে থাকে,   
21 শহরের দরজায় আমার সমর্থন দেখে,  
যদি আমি পিতৃহীনদের বিরুদ্ধে আমার হাত তুলে থাকি,   
22 তবে আমার কাঁধের হাড় খসে পড়ুক  
এবং আমার হাত সংযোগস্থল থেকে ভেঙে পড়ুক।   
23 কারণ ঈশ্বর থেকে বিপদ আমার জন্য আতঙ্কের কারণ হত;  
তাঁর মহিমার জন্য, আমি সেরকম কিছু করতে পারলাম না।   
24 আমি যদি সোনায় আমার ভরসা রাখি  
এবং আমি যদি বিশুদ্ধ সোনাকে বলি,  
তুমি আমার আত্মবিশ্বাস,   
25 যদি আমি আমার অনেক সম্পত্তির জন্য অথবা  
আমার হাতের সম্বৃদ্ধির জন্য আনন্দ করে থাকি;   
26 আমি যদি সূর্যকে তেজময় অবস্থায় দেখে থাকি,  
অথবা চাঁদকে যদি তার উজ্জ্বলতায় ভ্রমণ করতে দেখি   
27 তাদের ধ্যানে যদি আমার হৃদয় গোপনে আকৃষ্ট হয় থাকে বা  
আমার মুখ আমার হাতকে চুম্বন করে থাকে,   
28 এটাও একটা বিচারকদের দ্বারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে,  
কারণ আমি তাহলে স্বর্গের ঈশ্বরকে অস্বীকার করতাম, যিনি উর্ধে আছেন।   
29 যে আমায় ঘৃণা করত আমি যদি তার বিপদে আনন্দ করে থাকি  
অথবা তার বিপর্যয়ে যদি খুশি হয়ে থাকি,   
30 সত্যি,  
আমি আমার মুখকে পাপ করতে দিইনি অভিশাপে তার মৃত্যু কামনা করি নি,   
31 আমার তাঁবুর লোকেরা কি বলত না,  
এমন কি কেউ আছে যে ইয়োবের খাবারে তৃপ্ত হয়নি?   
32 বিদেশীদের কখনও শহরের চকে থাকতে হয়নি;  
বরং, আমি সবদিন পথিকদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছি   
33 যদি, মানুষের মত,  
আমি আমার পাপ লুকিয়ে রাখি,  
আমার হৃদয়ে আমার অপরাধ লোকানোর মাধ্যমে   
34 কারণ আমি লোকের ভিড়কে ভয় পেয়েছি,  
কারণ পরিবারের ঘৃণা আমায় আতঙ্কিত করেছে,  
যাতে আমি চুপ করে থাকি  
এবং আমার ঘরের বাইরে না যাই?   
35 আহা, যদি আমি কাউকে পেতাম আমার কথা শোনাবার জন্য! দেখ,  
এই আমার স্বাক্ষর; সর্বশক্তিমান আমায় উত্তর দিন!  
আমার বিরোধীদের লেখা আমার বিষয়ে যদি কোন দশ পত্র থাকে!   
36 অবশ্যই আমি তা সর্বসম্মুখে আমার কাঁধে বয়ে বেড়াব;  
আমি এটা মুকুটের মত তার ওপর রাখব।   
37 আমি তাঁর কাছে আমার পায়ের চিহ্নের হিসাব ঘোষণা করব;  
আমি একজন আত্মবিশ্বাসী রাজপুত্রের মত তাঁর কাছে যাব।   
38 যদি আমার ভূমি কখনও আমার বিরুদ্ধে কেঁদে ওঠে  
এবং এটার হালরেখা যদি একসঙ্গে কেঁদে ওঠে,   
39 আমি যদি তার ফসল বিনা পয়সায় খেয়ে থাকি অথবা  
তার মালিকের মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকি,   
40 তবে গমের জায়গায় কাঁটা বৃদ্ধি পাক  
এবং যবের পরিবর্তে আগাছা বৃদ্ধি পাক। ইয়োবের কথার সমাপ্ত।”