10
1 সদাপ্রভুু, কেন তুমি দূরে দাঁড়িয়ে থাক?  
বিপদের দিনের কেন তুমি নিজেকে লুকিয়ে রাখো?   
2 কারণ তাদের অহঙ্কারের জন্য,  
দুষ্ট লোকেরা নিপীড়িতদের অনুসরণ করে;  
কিন্তু দয়া করে যে ফাঁদ দুষ্টরা পেতেছে সেই ফাঁদেই তাদের পড়তে দাও।   
3 কারণ দুষ্ট লোক তার হৃদয়ের বাসনায় অহঙ্কার করে,  
এবং লোভী লোকেরা ঈশ্বর নিন্দা করে  
এবং সদাপ্রভুুকে অপমান করে।   
4 কারণ দুষ্ট লোক গর্বিত,  
সে ঈশ্বরের সন্ধান করে না,  
সে ঈশ্বরের সম্পর্কে চিন্তা করে না,  
কারণ সে তাঁর বিষয়ে কোনো পরোয়া করে না।   
5 তিনি সব দিনের নিরাপদ,  
কিন্তু তোমার ধার্মিকতার আদেশ তার জন্য খুব উঁচু;  
তিনি তাঁর সমস্ত শত্রুদের প্রতি গর্জন করেন।   
6 সে তার হৃদয়ে বলেছে,  
আমি কখনই ব্যর্থ হব না;  
সমস্ত প্রজন্মের মধ্যেও আমি দূর্দশার সম্মুখীন হব না।   
7 তার মুখ অভিশাপ,  
প্রতারণা এবং খারাপ শব্দে পূর্ণ;  
তার জিহ্বা ক্ষতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত।   
8 সে গ্রামের কাছে ওৎ পেতে অপেক্ষা করে;  
গোপন জায়গায় সে নির্দোষদের হত্যা করে;  
তার চোখ কিছু অসহায়দের শিকারের জন্য তাকিয়ে থাকে।   
9 সে ঝোপঝাড়ের মধ্যে সিংহের মত গোপনে লুকিয়ে থাকে;  
সে নিপীড়িতদের ধরার জন্য অপেক্ষা করে থাকে।  
সে নিপীড়িতদেরকে ধরে যখন সে তার জালে টানে।   
10 তার শিকাররা চূর্ণবিচূর্ণ এবং আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে;  
তারা তার শক্তিশালী জালের মধ্যে পড়ে।   
11 সে তার হৃদয়ে বলে, “ঈশ্বর ভুলে গেছেন;  
তিনি তাঁর মুখ আড়াল করছেন,  
তিনি কখনও দেখবেন না।”   
12 সদাপ্রভুু, ওঠ, হে ঈশ্বর,  
বিচারে তোমার হাত তোলো।  
নিপীড়িতদের ভুলে যেও না।   
13 কেন দুষ্ট লোক ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান করে  
এবং তার হৃদয় বলে,  
“তুমি আমাকে দোষী করবে না?”   
14 কারণ তুমি লক্ষ্য করেছ এবং সবদিন দেখেছ,  
যে ব্যক্তি দুঃখ ও দূর্দশায় কষ্ট পায়,  
অসহায় তোমার ওপরে নিজের ভার সমর্পণ করে;  
তুমি পিতৃহীনদের উদ্ধার কর।   
15 দুষ্ট এবং মন্দ লোকের বাহু ভেঙে ফেল;  
তার মন্দ কাজের জন্য তাকে দায়ী কর,  
যে বিষয়ে সে মনে করেছিল,  
যে তুমি তার খোঁজ আর করবে না।   
16 যুগে যুগে সদাপ্রভুুই রাজা;  
জাতিগুলো তার দেশ থেকে উচ্ছেদ হয়েছে।   
17 সদাপ্রভুু, তুমি নিপীড়িতদের চাহিদাগুলো শুনেছ;  
তুমি তাদের হৃদয় শক্তিশালী কর,  
তুমি তাদের প্রার্থনা শুনবে;   
18 তুমি পিতৃহীনদের এবং নিপীড়িতদেরকে রক্ষা কর,  
যাতে মানুষ আবার পৃথিবীতে সন্ত্রাসের কারণ না হয়।