1 বংশাবলি  
গ্রন্থস্বত্ব  
1 বংশাবলী পুস্তকটি নির্দিষ্টভাবে এর কোনো গ্রন্থকারের নাম বলে না, যিহুদী পরম্পরা লেখক রূপে অধ্যাপক ইস্রার ওপরে কৃতিত্ব দেয়। 1 বংশাবলী ইস্রায়েলীদের পরিবারের একটি সূচীর সাথে শুরু হয়। তখন এটা ইস্রায়েল নামে সংযুক্ত রাজ্যর ওপর দাউদের শাসনের বিবরণকে নিয়ে অগ্রসর হয়, পুস্তকটি রাজা দাউদের কাহিনীর একটি অতি নিকটস্থ বিষয় হচ্ছে, ইনি পুরাতন নিয়মের অন্যতম উচ্চ ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন। এটার প্রশস্ত মতবাদ প্রাচীন ইস্রায়েলের রাজনৈতিক এবং ধার্মিক ইতিহাসকে আবৃত করে।  
রচনার সময় এবং স্থান  
আনুমাণিক 450 থেকে 400 খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়।  
এটা স্পষ্ট যে, নির্বাসন থেকে ইস্রায়েলের প্রত্যার্বতনের পরে 1 বংশাবলী 3:19-24 তে উল্লিখিতি সূচি দাউদের বংশাবলী থেকে যেরুব্বাবেলের পরে ষষ্ঠ প্রজন্ম পর্যন্ত প্রসারিত করে।  
গ্রাহক  
প্রাচীন যিহুদী জনগণ এবং বাইবেলের সমস্ত পরবর্তী পাঠকগণ  
উদ্দেশ্য  
নির্বাসনের পরে 1 বংশাবলী পুস্তকটি লেখা হয়েছিল তাদেরকে সাহায্য করতে যারা ইস্রায়েলে ফিরছিল বুঝতে কিভাবে ঈশ্বরের আরাধনা করা যায়। ইতিহাস দক্ষিনের রাজত্বের ওপরে ধ্যান কেন্দ্রিত করেছিল, যিহুদার উপজাতি, বিন্ন্যামীন এবং লেবিযদের ওপরে। এই উপজাতি সমূহ ইচ্ছা পোষণ করেছিল ঈশ্বরের নিকটে বিশ্বস্ত হতে। ঈশ্বর দাউদের সাথে তাঁর নিয়মকে সম্মান করলেন দাউদের গৃহ প্রতিষ্ঠিত করতে, অথবা চিরকালের জন্য রাজত্ব করতে। জাগতিক রাজাগণ তা করতে পারত না, দাউদ এবং শলোমনের মাধ্যমে, ঈশ্বর তাঁর মন্দির নির্মাণ করলেন, যেখানে লোকেরা আরাধনা করতে আসতে পারত। শলোমনের মন্দির বাবেলের আক্রমনের দ্বারা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।  
বিষয়  
ইসরায়েলের আত্মিক ইতিহাস  
রূপরেখা  
1. বংশ পরম্পরা — 1:1-9:44  
2. সৌলের মৃত্যু — 10:1-14  
3. দাউদের অভিষেক এবং রাজপদ — 11:1-29:30   
1
আদম থেকে আব্রাহাম তথা আব্রাহাম থেকে নোহের পুত্রগণ পর্যন্ত ঐতিহাসিক নথি। 
 
1 আদম, শেথ, ইনোশ,  
2 কৈনন, মহললেল, যেরদ,  
3 হনোক, মথূশেলহ, লেমক।   
4 নোহ, শেম, হাম ও যেফৎ।   
যেফেতীয়গণ। 
 
5 যেফতের ছেলেরা হল গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, তুবল, মেশক ও তীরস।  
6 গোমরের ছেলেরা হল অস্কিনস, দীফৎ ও তোগর্ম।  
7 যবনের ছেলেরা হল ইলীশা, তর্শীশ, কিত্তীম ও রোদানীম।   
হামীয়গণ। 
 
8 হামের ছেলেরা হল কূশ, মিশর, পূট ও কনান।  
9 কূশের ছেলেরা হল সবা, হবীলা, সপ্তা, রয়মা ও সপ্তকা। রয়মার ছেলেরা হল শিবা ও দদান।  
10 নিম্রোদ কূশের ছেলে। তিনি পৃথিবীতে একজন ক্ষমতাশালী পুরুষ হয়ে উঠেছিলেন।  
11 লূদীয়, অনামীয়, লহাবীয়, নপ্তুহীয়,  
12 পথ্রোষীয়, কস্লূহীয়েরা ছিল পলেষ্টীয়দের পূর্বপুরুষ এবং কপ্তোরীয়, এই সব মিশরের বংশের লোক।  
13 কনানের বড় ছেলের নাম সীদোন।  
14 তার পরে হেৎ, যিবূষীয়, ইমোরীয়, গির্গাশীয়,  
15 হিব্বীয়,  
16 অর্কীয়, সীনীয়, অর্বদীয়, সমারীয় এবং হমাতীয়।   
শেমীয়গণ। 
 
17 শেমের ছেলেরা হল এলম, অশূর, অর্ফকষদ, লূদ ও অরাম এবং ঊষ, হূল, গেথর ও মেশেক।  
18 অর্ফকষদ শেলহের জন্ম দিলেন ও শেলহ এবারের জন্ম দিলেন।  
19 এবারের দুইটি ছেলে হয়েছিল। তাদের এক জনের নাম পেলগ (বিভাগ); কারণ তার দিনের পৃথিবী ভাগ হয়েছিল; তাঁর ভাইয়ের নাম ছিল যক্তন।   
20 যক্তনের ছেলেরা হল অলমোদদ, শেলফ,  
21 হৎসর্মাবৎ, যেরহ, হদোরাম, উষল, দিক্ল,  
22 এবল, অবীমায়েল, শিবা,  
23 ওফীর, হবীলা ও যোববের জন্ম দিলেন। এরা সবাই যক্তনের ছেলে।   
24 শেম, অর্ফকষদ, শেলহ,  
25 এবর, পেলগ, রিয়ূ,  
26 সরূগ, নাহোর, তেরহ,  
27 অব্রাম, অর্থাৎ অব্রাহাম।   
আব্রাহামের পরিবার। 
 
28 অব্রাহামের ছেলেরা হল ইস্হাক ও ইশ্মায়েল।   
হাগারের বংশধর। 
 
29 তাঁদের বংশের কথা এই: ইশ্মায়েলের বড় ছেলে নবায়োৎ, তার পরে কেদর, অদবেল, মিব্সম,  
30 মিশ্ম, দূমা, মসা, হদদ, তেমা,  
31 যিটূর, নাফীশ ও কেদমা। এরা ইশ্মায়েলের ছেলে।   
কটূরার বংশধর। 
 
32 অব্রাহামের উপপত্নী কটূরার ছেলেরা হল সিম্রন, যক্ষণ, মদান, মিদিয়ন, যিশ্বক ও শূহ। যক্ষণের ছেলেরা হল শিবা ও দদান।  
33 মিদিয়নের ছেলেরা হল ঐফা, এফর, হনোক, অবীদ ও ইলদায়া। এরা সবাই ছিল কটূরার বংশধর।   
সারার বংশধর। 
 
34 অব্রাহামের ছেলে ইস্হাকের ছেলেরা হল এষৌ আর ইস্রায়েল।   
এষৌর পুত্রগণ। 
 
35 এষৌর ছেলেরা হল ইলীফস, রূয়েল, যিয়ূশ, যালম ও কোরহ।  
36 ইলীফসের ছেলেরা হল তৈমন, ওমার, সফী, গয়িতম, কনস এবং তিম্না ও অমালেক।  
37 রূয়েলের ছেলেরা হল নহৎ, সেরহ, শম্ম ও মিসা।   
সেয়ীরের লোকেরা ইদোমে। 
 
38 সেয়ীরের ছেলেরা হল লোটন, শোবল, শিবিয়োন, অনা, দিশোন, এৎসর ও দীশন।  
39 লোটনের ছেলেরা হল হোরি ও হোমম। তিম্না ছিল লোটনের বোন।  
40 শোবলের ছেলেরা হল অলবন, মানহৎ, এবল, শফী ও ওনম। সিবিয়োনের ছেলেরা হল অয়া ও অনা।  
41 অনার ছেলে হল দিশোন। দিশোনের ছেলেরা হল হম্রণ, ইশবন, যিত্রণ ও করাণ।  
42 এৎসরের ছেলেরা হল বিলহন, সাবন ও যাকন। দীশনের ছেলেরা হল ঊষ ও অরান।   
ইদোমের শাসকগণ। 
 
43 ইস্রায়েলীয়দের উপরে কোনো রাজা রাজত্ব করবার আগে এরা ইদোম দেশের রাজা ছিলেন; বিয়োরের ছেলে বেলা। তাঁর রাজধানীর নাম ছিল দিনহাবা।  
44 বেলার মৃত্যুর পরে তাঁর জায়গায় বস্রা শহরের সেরহের ছেলে যোবব রাজত্ব করেন।  
45 যোববের মৃত্যুর পরে তাঁর জায়গায় তৈমন দেশের হূশম রাজা হয়েছিলেন।  
46 হূশমের মৃত্যুর পরে তাঁর জায়গায় বদদের ছেলে হদদ্ রাজা হয়েছিলেন। তিনি মোয়াব দেশে মিদিয়নীয়দের হারিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর রাজধানীর নাম ছিল অবীৎ।  
47 আর হদদের মৃত্যুর পরে তাঁর জায়গায় মস্রেকা শহরের সম্ল রাজা হয়েছিলেন।  
48 আর সম্লর মৃত্যুর পরে তাঁর জায়গায় সেই জায়গায় (ফরাৎ বা ইউফ্রেটিস) নদীর কাছে রহোবোৎ শহরের শৌল তাঁর পদে রাজা হয়েছিলেন।  
49 আর শৌলেরমৃত্যুর পরে তাঁর জায়গায় অকবোরের ছেলে বাল্ হানন রাজা হয়েছিলেন।  
50 আর বাল্ হাননের মৃত্যুর পরে তাঁর জায়গায় হদদ্ রাজা হয়েছিলেন। তাঁর রাজধানীর নাম ছিল পায় এবং তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল মহেটবেল। তিনি মট্রেদের মেয়ে এবং মেষাহবের নাতনী।  
51 পরে হদদের মৃত্যু হয়েছিল।  
52 ইদোমের দলপতিদের নাম তিম্ন, অলিয়া, যিথেৎ, অহলীবামা, এলা, পীনোন,  
53 কনস, তৈমন, মিব্সর,  
54 মগদীয়েল ও ঈরম। এরা সবাই ইদোমের দলপতি ছিল।