3
দেখো, ঈশ্বর কেমন তাঁর প্রেম পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের ঢেলে দিয়েছেন, যেন আমরা ঈশ্বরের সন্তান বলে অভিহিত হই। আর আমরা প্রকৃতপক্ষে তাই। জগৎ এজন্য আমাদের জানে না, কারণ সে তাঁকে জানে না। প্রিয় বন্ধুরা, বর্তমানে আমরা ঈশ্বরের সন্তান এবং আমরা কী হব, তা এখনও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু আমরা জানি, যখন তিনি প্রকাশিত হবেন আমরা তাঁরই মতো হব, কারণ তিনি যেমন আছেন, আমরা তেমনই তাঁকে দেখতে পাব। তাঁর প্রতি যার এই প্রত্যাশা আছে, তিনি যেমন শুদ্ধ, সে নিজেকেও তেমনই শুদ্ধ করে।
যে কেউ পাপ করে, সে বিধান লঙ্ঘন করে; প্রকৃতপক্ষে, বিধান লঙ্ঘন করাই হল পাপ। কিন্তু তোমরা জানো যে, আমাদের পাপ হরণের জন্য তিনি প্রকাশিত হয়েছিলেন এবং তাঁর মধ্যে পাপের লেশমাত্র নেই। যে তাঁর মধ্যে বাস করে, সে পাপে লিপ্ত থাকে না। যে অবিরত পাপ করতেই থাকে, সে তাঁকে দেখেনি বা তাঁকে জানেও না।
প্রিয় সন্তানেরা, কাউকে তোমাদের বিপথে চালিত করতে দিয়ো না। যে ন্যায়সংগত আচরণ করে, সে ধার্মিক, যেমন তিনি ধার্মিক। যে পাপ করে, সে দিয়াবলের, কারণ দিয়াবল প্রথম থেকেই পাপ করে আসছে। ঈশ্বরের পুত্র এই কারণেই প্রকাশিত হয়েছেন, যেন দিয়াবলের সব কাজ ধ্বংস করেন। ঈশ্বর থেকে জাত কোনো ব্যক্তি পাপে লিপ্ত থাকতে পারে না, কারণ ঈশ্বরের স্বভাব তার মধ্যে থাকে; সে ক্রমাগত পাপ করতে পারে না, কারণ সে ঈশ্বর থেকে জাত। 10 এভাবেই আমরা জানতে পারি, কারা ঈশ্বরের সন্তান, আর কারা দিয়াবলের সন্তান। যে ন্যায়সংগত আচরণ করে না, সে ঈশ্বরের সন্তান নয়; যে তার ভাইবোনকে ভালোবাসে না, সেও নয়।
11 কারণ প্রথম থেকেই তোমরা এই শিক্ষা শুনেছ যে, আমাদের পরস্পরকে ভালোবাসা উচিত। 12 তোমরা কয়িনের মতো হোয়ো না; সে ছিল সেই পাপাত্মার দলভুক্ত এবং তার ভাইয়ের হত্যাকারী। সে কেন তাকে হত্যা করেছিল? কারণ তার নিজের কাজ ছিল মন্দ এবং তার ভাইয়ের কাজ ছিল ন্যায়সংগত। 13 প্রিয় ভাইবোনেরা, জগৎ যদি তোমাদের ঘৃণা করে, তাহলে আশ্চর্য হোয়ো না। 14 আমরা জানি, মৃত্যু থেকে আমরা জীবনে উত্তীর্ণ হয়েছি, কারণ আমাদের ভাইবোনদের আমরা ভালোবাসি; যে ভালোবাসে না, সে মৃত্যুর মাঝেই বাস করে। 15 যে তার ভাইবোনকে ঘৃণা করে, সে হত্যাকারী এবং তোমরা জানো যে কোনো হত্যাকারীর অন্তরে অনন্ত জীবন থাকতে পারে না।
16 প্রেম করার অর্থ আমরা এভাবেই বুঝতে পারি: যীশু খ্রীষ্ট আমাদের জন্য জীবন দিয়েছেন। আমাদেরও তেমনই ভাইবোনদের জন্য নিজেদের প্রাণ দেওয়া উচিত। 17 জাগতিক সম্পদের অধিকারী হয়ে কেউ যদি তার ভাইবোনকে অভাবগ্রস্ত দেখে কিন্তু তার প্রতি করুণাবিষ্ট না হয়, তাহলে তার অন্তরে ঈশ্বরের প্রেম কীভাবে থাকতে পারে? 18 প্রিয় সন্তানেরা, এসো, মুখের কথায় অথবা ভাষণে নয়, কিন্তু কাজ করে ও সত্যের মাধ্যমেই আমরা প্রেম করি।
19 আমাদের কাজকর্ম প্রমাণ করবে যে আমরা সত্যের, এবং যখন আমরা ঈশ্বরের সামনে দাঁড়াব তখন আমাদের হৃদয়ে আশ্বাস থাকবে। 20 কারণ আমাদের হৃদয়ে দোষভাব থাকলেও ঈশ্বর আমাদের অনুভূতির চেয়ে মহান এবং তিনি সবকিছুই জানেন। 21 প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের হৃদয় যদি আমাদের দোষী সাব্যস্ত না করে, তাহলে ঈশ্বরের সাক্ষাতে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মায় 22 এবং আমাদের প্রার্থিত সবকিছুই আমরা তাঁর কাছ থেকে পাই; কারণ আমরা তাঁর আদেশ পালন করি এবং তাঁর প্রীতিজনক কাজ করি। 23 আর তাঁর আদেশ এই: আমরা যেন তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের নামে বিশ্বাস করি এবং তাঁর নির্দেশমতো পরস্পরকে প্রেম করি। 24 যারা তাঁর আদেশ পালন করে, তারা তাঁর মধ্যেই বাস করে এবং তিনিও তাদের মধ্যে বাস করেন। আবার তিনি যে আত্মা আমাদের দিয়েছেন, তাঁর দ্বারা আমরা জানতে পারি যে, তিনি আমাদের মধ্যে আছেন।