22
ইলীফস
পরে তৈমনীয় ইলীফস উত্তর দিলেন:
“কোনও মানুষ কি ঈশ্বরের পক্ষে লাভজনক হবে?
একজন জ্ঞানবানও কি তাঁর উপকার করতে পারবে?
তুমি ধার্মিক হলেও তা সর্বশক্তিমানকে কী আনন্দ দেবে?
তোমার আচরণ অনিন্দনীয় হলেও তাতে তাঁর কী লাভ?
 
“তোমার ভক্তি দেখেই কি তিনি তোমাকে তিরস্কার করেন
ও তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন?
তোমার দুষ্টতা কি অত্যধিক নয়?
তোমার পাপগুলিও কি অপার নয়?
অকারণে তুমি তোমার আত্মীয়দের কাছ থেকে জামানত চেয়েছ;
তুমি লোকদের পরনের পোশাক কেড়ে নিয়েছ, তাদের উলঙ্গ করে ছেড়েছ।
তুমি ক্লান্ত মানুষকে জল দাওনি
ও ক্ষুধার্ত মানুষকে খাদ্য দিতে অসম্মত হয়েছ,
যদিও তুমি এক ক্ষমতাপরায়ণ লোক, দেশের অধিকারী ছিলে—
এমন এক সম্মানিত লোক ছিলে, যে সেখানেই বসবাস করত।
আর তুমি বিধবাদের খালি হাতে বিদায় করতে,
ও পিতৃহীনদের শক্তি চূর্ণ করতে।
10 সেইজন্যই তোমার চারপাশে ফাঁদ পাতা আছে,
আকস্মিক বিপদ তোমাকে আতঙ্কিত করে,
11 এত অন্ধকার হয়েছে যে তুমি দেখতে পাচ্ছ না,
ও জলের বন্যা তোমাকে ঢেকে ফেলেছে।
 
12 “ঈশ্বর কি স্বর্গের উচ্চতায় বিরাজমান নন?
আর দেখো অতি উচ্চে অবস্থিত তারাগুলি কত উঁচু!
13 তবুও তুমি বলো, ‘ঈশ্বর কী-ই বা জানেন?
এ ধরনের অন্ধকার দিয়ে তিনি কি বিচার করেন?
14 ঘন মেঘ তাঁকে আড়াল করে রাখে, তাই তিনি আমাদের দেখতে পান না
যেহেতু তিনি খিলানযুক্ত আকাশমণ্ডলে বিচরণ করেন।’
15 তুমি কি সেই পুরানো পথই ধরবে
যে পথে দুষ্টেরা পা ফেলেছিল?
16 তাদের তো অকালেই উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল,
তাদের ভিত্তিমূল বন্যায় ভেসে গিয়েছে।
17 তারা ঈশ্বরকে বলেছিল, ‘আমাদের ছেড়ে দাও!
সর্বশক্তিমান আমাদের কী করবেন?’
18 অথচ তিনিই তাদের বাড়িঘর ভালো ভালো জিনিসপত্রে ভরিয়ে দিয়েছিলেন,
তাই আমি দুষ্টদের পরিকল্পনা থেকে দূরে সরে দাঁড়াই।
19 ধার্মিকেরা তাদের বিনাশ দেখে ও আনন্দ করে;
নির্দোষেরা তাদের বিদ্রুপ করে বলে,
20 ‘আমাদের শত্রুরা নিশ্চয় ধ্বংস হয়েছে,
ও আগুন তাদের ধনসম্পদ গ্রাস করেছে।’
 
21 “ঈশ্বরের হাতে নিজেকে সমর্পণ করো ও শান্তি পাও;
এভাবেই তুমি সমৃদ্ধিলাভ করবে।
22 তাঁর মুখ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করো
ও তোমার হৃদয়ে তাঁর বাক্য সঞ্চয় করে রাখো।
23 তুমি যদি সর্বশক্তিমানের দিকে ফেরো, তবে তুমি পুনঃস্থাপিত হবে:
তুমি যদি তোমার তাঁবু থেকে দুষ্টতা দূর করো
24 ও তোমার সোনার তাল ধুলোতে রাখো,
তোমার ওফীরের সোনা গিরিখাতের পাষাণ-পাথরের মধ্যে রাখো,
25 তবে সর্বশক্তিমানই তোমার সোনা হবেন,
তোমার জন্য অসাধারণ রুপো হবেন।
26 তখন নিশ্চয় তুমি সর্বশক্তিমানে আনন্দ খুঁজে পাবে
ও তোমার মুখ ঈশ্বরের দিকে তুলে ধরবে।
27 তুমি তাঁর কাছে প্রার্থনা করবে, এবং তিনি তোমার প্রার্থনা শুনবেন,
ও তুমি তোমার মানতগুলি পূরণ করবে।
28 তুমি যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই সফল হবে,
ও তোমার পথগুলি আলোয় উজ্জ্বল হবে।
29 মানুষকে যখন অবনত করা হয় ও তুমি বলো, ‘ওদের তুলে ধরো!’
তখন তিনি হতোদ্যমকে উদ্ধার করবেন।
30 যে নির্দোষ নয় তিনি তাকেও উদ্ধার করবেন,
তোমার হাতের পরিচ্ছন্নতায় সে উদ্ধার পাবে।”