3
1 “আমি আমার বার্তাবাহককে পাঠাব, যে আমার আগে পথ তৈরি করবে। তারপর, প্রভু, যাঁকে তোমরা খুঁজছ, হঠাৎ তিনি নিজের মন্দিরে আসবেন; যিনি নিয়মের দূত, যাঁকে তোমরা চাও, তিনি আসবেন,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
2 কিন্তু তাঁর আসবার দিন কে সহ্য করতে পারবে? যখন তিনি আবির্ভূত হবেন কে তাঁর সামনে দাঁড়াবে? কারণ তিনি হবেন জ্বলন্ত আগুনের শিখার মতো যা ধাতুকে পরীক্ষাসিদ্ধ করে অথবা কড়া সাবানের মতো কাপড় পরিষ্কার করে।
3 রুপোকে পরিশোধন ও পবিত্র করার মতো তিনি বসবেন; তিনি লেবীয়দের পবিত্র করবেন এবং তাদের সোনা ও রুপোর মতো পরিশোধন করবেন, যেন তারা পুনরায় সদাপ্রভুর কাছে গ্রহণযোগ্য নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে পারে,
4 তখন যিহূদার ও জেরুশালেমের নৈবেদ্য সদাপ্রভুর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, যেমন আগেকার সময়ে, পূর্ববর্তী বছরে তিনি গ্রহণ করতেন।
5 সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, “তাই আমি তোমাদের বিচার করতে আসব। আর জাদুকর, ব্যভিচারী এবং মিথ্যাশপথকারী, যারা শ্রমিকদের বেতনে ঠকায় এবং বিধবা ও অনাথদের অত্যাচার করে, বিদেশিদের ন্যায় থেকে বঞ্চিত করে, অথচ আমাকে ভয় করে না, তাদের সকলের বিপক্ষে আমি দ্রুত সাক্ষী দেব।”
দশমাংশ না দিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন
6 “আমি সদাপ্রভু, আমার পরিবর্তন নেই। সেই কারণেই হে যাকোবের বংশধর, তোমরা ধ্বংস হওনি।
7 তোমাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকেই তোমরা আমার আদেশ থেকে বিপথে গিয়েছ এবং সেগুলি পালন করোনি। আমার কাছে ফিরে এসো এবং আমিও তোমাদের কাছে ফিরে যাব,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
“কিন্তু তোমরা বলো, ‘আমরা কীভাবে ফিরব?’
8 “মরণশীল মানুষ কি কখনও ঈশ্বরকে ঠকাতে পারে? তবুও তোমরা আমাকে ঠকাও।
“কিন্তু তোমরা জিজ্ঞাসা করো, ‘আমরা কীভাবে তোমাকে ঠকাচ্ছি?’
“দশমাংশে ও উপহারে।
9 তোমরা অভিশাপের মধ্যে আছ, তোমার সমস্ত জাতি, কারণ তোমরা আমাকে ঠকাচ্ছো
10 তোমরা সমস্ত দশমাংশ আমার ভাণ্ডারে নিয়ে এসো যেন আমার গৃহে খাদ্য থাকে।” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, “এবং দেখো আমি স্বর্গের সব দরজা তোমাদের জন্য খুলে দিয়ে অনেক আশীর্বাদ ঢেলে দিই কি না যা ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট জায়গা হবে না।
11 সমস্ত কীটপতঙ্গদের হাত থেকে আমি তোমাদের ফসল রক্ষা করব এবং তোমার জমির আঙুরগাছের ফল পেকে ওঠার আগে ঝরে পরবে না,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
12 “তখন সব জাতি তোমাদের ধন্য বলবে, কারণ তোমাদের দেশ এক আনন্দময় দেশ হবে,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
ইস্রায়েল অহংকারে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কথা বলে
13 “তোমরা আমার বিরুদ্ধে অহংকারের সাথে কথা বলেছ,” সদাপ্রভু বলেন।
“তবুও তোমরা জিজ্ঞাসা করো, ‘আমরা তোমার বিরুদ্ধে কি বলেছি?’
14 “তোমরা বলেছ, ‘ঈশ্বরের সেবা করা অর্থহীন। তাঁর আদেশ পালন করে কী লাভ হয় এবং সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর সাক্ষাতে শোকে যাওয়া-আসা করে আমাদের কী লাভ?
15 কিন্তু এখন আমরা অহংকারীকে ধন্য বলি। নিশ্চয়ই দুষ্ট আচরণকারী সমৃদ্ধিলাভ করে, এমনকি যখন তারা ঈশ্বরকে পরীক্ষায় ফেলে, তারা তা করেও রক্ষা পায়।’ ”
বিশ্বস্ত অবশিষ্ট লোকজন
16 তারপর যারা সদাপ্রভুকে ভয় করত তারা একে অপরের সাথে কথা বলল এবং সদাপ্রভু তাদের কথা মন দিয়ে শুনলেন। যারা সদাপ্রভুকে ভয় ও তাঁর নাম সম্মান করত, তাদের সম্মন্ধে স্মরণীয় পুঁথি তাঁর সামনে লেখা হল।
17 “সেদিন যখন আমি আমার কাজ করব,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, তারা আমার প্রিয় অধিকার হবে। আমি তাদের প্রতি ক্ষমাপরায়ণ হব, যেমন একজন বাবা তার সেবায় রত ছেলেকে করুণার চোখে দেখে এবং তার প্রতি ক্ষমাপরায়ণ হয়।
18 আর তোমরা আবার ধার্মিক ও দুষ্টদের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাবে, যারা ঈশ্বরের সেবা করে ও যারা করে না তাদের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাবে।