29
আখীশ দাউদকে সিক্লগে ফেরত পাঠালেন
ফিলিস্তিনীরা অফেকে তাদের সব সৈন্য একত্রিত করল, এবং ইস্রায়েল যিষ্রিয়েলের ঝর্নার কাছে শিবির স্থাপন করল। ফিলিস্তিনী শাসনকর্তারা যখন এক-একশো ও এক এক হাজার সৈন্য সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল, দাউদ তাঁর লোকজন নিয়ে আখীশের সঙ্গী হয়ে পিছন পিছন যাচ্ছিলেন। ফিলিস্তিনী সেনাপতিরা জিজ্ঞাসা করল, “এই হিব্রু লোকগুলি কী করছে?”
আখীশ উত্তর দিলেন, “এ কি সেই দাউদ নয়, যে ইস্রায়েলের রাজা শৌলের উচ্চপদস্থ এক সামরিক কর্মচারী ছিল? সে আমার সঙ্গে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছে, এবং যেদিন সে শৌলকে ছেড়ে এসেছিল, সেদিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমি তার জীবনে কোনও দোষ খুঁজে পাইনি।”
কিন্তু ফিলিস্তিনী সেনাপতিরা আখীশের উপর রেগে গেল ও তাঁকে বলল, “এই লোকটিকে আপনি ফেরত পাঠিয়ে দিন, যেন সে সেখানেই ফিরে যেতে পারে যে স্থানটি আপনি তার জন্য নিরূপিত করে রেখেছেন। সে যেন আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে না যায়, পাছে যুদ্ধ চলাকালীন সে আমাদের বিরুদ্ধে চলে যায়। আমাদের নিজস্ব লোকজনের মুণ্ডু কেটে তার মনিবের অনুগ্রহ ফিরে পাওয়ার এমন সুযোগ সে কি আর পাবে? এই দাউদের বিষয়েই কি লোকেরা নাচ-গান করে বলেনি:
“ ‘শৌল মারলেন হাজার হাজার,
আর দাউদ মারলেন অযুত অযুত’?”
আখীশ তাই দাউদকে ডেকে তাঁকে বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, তুমি নির্ভরযোগ্য, এবং তোমায় আমি আমার সঙ্গে সৈন্যদলে রাখতে পারলে খুশিই হতাম। যেদিন তুমি আমার কাছে এসেছিলে সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি তোমার মধ্যে কোনও দোষ খুঁজে পাইনি, কিন্তু শাসনকর্তারা তোমাকে গ্রহণযোগ্য মনে করছে না। এখন শান্তিতে ফিরে যাও; ফিলিস্তিনী শাসনকর্তারা অসন্তুষ্ট হয় এমন কোনও কাজ কোরো না।”
“কিন্তু আমি কী করেছি?” দাউদ জিজ্ঞাসা করলেন। “যেদিন আমি আপনার কাছে এসেছিলাম, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত আপনি আপনার দাসের বিরুদ্ধে কি কিছু খুঁজে পেয়েছেন? তবে কেন আমি গিয়ে আমার প্রভু মহারাজের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারব না?”
আখীশ উত্তর দিলেন, “আমি জানি যে আমার নজরে তুমি ঈশ্বরের এক দূতের মতোই ভালো; তা সত্ত্বেও, ফিলিস্তিনী সেনাপতিরা বলেছে, ‘সে যেন আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে না যায়।’ 10 এখন তাড়াতাড়ি উঠে পড়ো, তোমার মনিবের সেইসব দাসকে সঙ্গে নিয়ে সকাল সকাল আলো ফোটামাত্র এখান থেকে চলে যাও, যারা তোমার সঙ্গে এখানে এসেছিল।”
11 তাই দাউদ ও তাঁর লোকজন ফিলিস্তিনীদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য সকাল সকাল উঠে পড়েছিলেন, এবং ফিলিস্তিনীরা যিষ্রিয়েলে চলে গেল।