2
উপাসনা সম্বন্ধীয় নির্দেশাবলি
সর্বপ্রথমেই আমি অনুনয় করছি, সকলের জন্য যেন অনুরোধ, প্রার্থনা, মিনতি এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়, বিশেষত রাজা এবং উচ্চপদস্থ সকল ব্যক্তির জন্য, যেন আমরা পরিপূর্ণ ভক্তিতে ও পবিত্রতায়, শান্তিপূর্ণ ও নিরুদ্বিগ্ন জীবনযাপন করতে পারি। আমাদের পরিত্রাতা ঈশ্বরের সামনে এটাই উত্তম ও সন্তোষজনক। তিনি চান, সব মানুষ যেন পরিত্রাণ পায় এবং সত্যের তত্ত্বজ্ঞান উপলব্ধি করতে পারে। কারণ ঈশ্বর যেমন এক তেমন ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যে একজন মধ্যস্থতাকারী আছেন, তিনি মানুষ খ্রীষ্ট যীশু। তিনি সব মানুষের জন্য নিজেকে মুক্তিপণরূপে প্রদান করেছেন—এই সাক্ষ্য যথাসময়ে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্দেশ্যেই আমি বার্তাবাহক ও প্রেরিতশিষ্য এবং অইহুদিদের কাছে প্রকৃত বিশ্বাসের শিক্ষক নিযুক্ত হয়েছি—আমি সত্যিই বলছি, মিথ্যা নয়।
আমি চাই, সর্বত্র পুরুষেরা ক্রোধ এবং মতবিরোধ ত্যাগ করে তাদের পবিত্র দু-হাত তুলে প্রার্থনা করুক। আমি এও চাই, নারীরা পরিশীলিত সাজসজ্জা করুক, শিষ্টাচার ও শালীনতা বজায় রাখুক। চুলের বাহার, সোনা ও মণিমুক্তা বা বহুমূল্য পোশাক দ্বারা নয়, 10 কিন্তু যে নারীরা নিজেদের ঈশ্বরের উপাসক বলে দাবি করে, তারা যোগ্য সৎকর্মের দ্বারা ভূষিত হোক।
11 নীরবে এবং সম্পূর্ণ বশ্যতার সঙ্গে নারীর শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত। 12 শিক্ষা দেওয়ার বা পুরুষের উপর কর্তৃত্ব করার অনুমতি আমি নারীকে দিই না, সে নীরব হয়ে থাকবে। 13 কারণ, প্রথমে সৃষ্টি হয়েছিল আদমের, পরে হবার। 14 আর আদম প্রতারিত হননি, নারীই প্রতারিত হয়ে পাপী প্রতিপন্ন হলেন। 15 কিন্তু নারী যদি আত্মসংযমের সঙ্গে বিশ্বাস, প্রেম ও পবিত্রতা বজায় রাখে, তাহলে সন্তান-ধারণের মধ্য দিয়ে সে মুক্তি* পাবে।
* 2:15 2:15 বিকল্প অনুবাদ: নারী সন্তান প্রসব করার সময় রক্ষা পাবে। (অর্থাৎ, মারা যাবে না)