6
মামলা-মকদ্দমার বেয়াপারে হুশিয়ার
তুমরা কেউরর যুদি কুনু ইমানদার ভাইর বিপক্ষে নালিশ থাকে, তে আল্লার পাক বন্দা অকলর গেছে না গিয়া, হে কুন সাওসে বাইরা মানষর গেছে বিচার চায়? তুমরা জানো না নি, অউ পাক বন্দা অকলেউ আস্তা জগতর বিচার করবা? আর আস্তা জগতর বিচার করতে পারলে অউ মামুলি বেয়াপারর ফয়ছালা করতায় পারো না নি? তুমরা জানো না নি, আমরা ফিরিস্তা অকলরও বিচার করমু? তে দুনিয়ার বেয়াপার তো কুন্তাউ নায়! তুমরার যেবলা অউ লাখান বিচার-আচারর জরুর অয়, অউ সময় জমাতর বাইরা মানষরে কেনে বিচারর সালিশ বানাও? আমি তো তুমরারে শরম দেওয়ার লাগিউ লেখরাম, তুমরার মাজে ইলা আখলদার সালিশ একজনও নাই নি, যেইন তুমরার নিজর মাজর গন্ডগোল মিট-মাট করতা পারইন? আমি দেখরাম, বিচারর মজলিছো বইয়াও তুমরা ভাইয়ে ভাইয়ে কাইজ্জা কররায়। তা-ও আবার অ-ইমানদারর ছামনে! আসলে তুমরা ভাইয়ে ভাইয়ে অউ যেলা বিচার সালিশ চালাইরায়, ইতায় তো তুমরার নিজরউ খেতি অর। তুমরা ইতা সইয্য করো না কেনে বা নিজে নিজে টগা খাও না কেনে? বরং তুমরা নিজেউ তো অইন্যায় কররায়, মানষরে টগিরায়, আর ইতা নিজর ভাইর লগেউ কররায়!
আসলে তুমরা জানো না নি, আল্লার বাদশাইত নাফরমান খবিছ অকলর কুনু ঠাই নাই। তে তুমরার ভুল চিন্তা দুর অউক, যেতা মানষর স্বভাব খারাপ, যেতায় জিনা করইন, মুর্তিপুজা করইন, গাটুয়া নাচাইন, সমকামি, 10 চুরি, লোভ-লালছি, মদখুর, গিবত গাওরা আর দখলবাজ, ইতা মানষে তো আল্লার বাদশাইত ঠাই পাইতা নায়। 11 তুমরার মাজর কুনু কুনু জনও আগে অলা আছলায়, অইলে মালিক ইছা আল-মসীর উছিলায় আর আমরার আল্লার রুহে তুমরারে ধইয়া ছাফ করছে, তুমরারে পবিত্র করা অইছে আর বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করা অইছে।
হকল নমুনার জিনা থাকি হুশিয়ার
12 কুনু কুনু মানষে কইন, “আমার লাগি কুন্তাউ হারাম নায়, হক্কলতাউ জাইজ।” অইলে হক্কলতা যেন মানষর লাগি উপকারি, ইলা চিন্তা ঠিক নায়। আমার লাগি হক্কলতা জাইজ অইলেও, আমি কুন্তার গুলাম অইতাম নায়। 13 কেউ কেউ কইন, “পেটর লাগি খানি আর খানির লাগি পেট দেওয়া অইছে।” খুব সুন্দর কথা, অইলে আল্লায় তো ই দুইওতাউ বিনাশ করিলিবা। মনো রাখিও, শরিল তো জিনা করার লাগি নায় বরং মালিক ইছার লাগিউ, আর মালিক ইছা শরিলর লাগি। 14 আল্লায় তান কুদরতি বলে মালিক ইছারে মুর্দা থাকি জিন্দা করছইন, আর অউ বলে আমরারেও জিন্দা করবা। 15 তুমরা জানো না নি, তুমরার শরিল অইলো আল-মসীর শরিলর অংগ? তে আল-মসীর শরিলরে আমি বদমাইশ বেটির শরিলর লগে মিলাইতাম নি? নাউজুবিল্লা, কুনুমন্তেউ না! 16 তুমরা বুজো না নি, যে বেটায় বদমাইশ বেটির লগে মিলা-মিশা করে, তার শরিল তো অউ বেটির লগে এখানো মিলিযায়। যেলা পবিত্র তৌরাত শরিফো লেখা আছে, “তারা দুইওজন এক শরিল অইবা।” 17 অইলে যে জন মালিক ইছার লগে মিলিযায়, হে তান লগে রুহেও এক অইযায়।
18 ভাইয়াইনরে, তুমরা হকল জাতর জিনা থাকি জান বাচাও। মানষে বাদ-বাকি যতো গুনা করে, ইতা শরিলর বারে করে, অইলে যেগিয়ে জিনা করে, হে তার নিজর শরিলর বিরুদ্ধে গুনা করে। 19 তুমরা বুজো না নি, তুমরার শরিল অইলো আল্লাই পাক রুহর কাবা ঘর, অউ রুহরে তুমরা আল্লার গেছ থাকি পাইছো, এইন তুমরার দিলো বসত করইন। তুমার শরিল তো তুমার নিজর সম্পদ নায়। 20 বউত দাম দিয়া তুমারে খরিদ করা অইছে। এরলাগি তুমার শরিলরে আল্লার গৌরবর কামো লাগাও।