19
ধনি জাকিরর তৌবা
হজরত ইছা যিরিহো টাউনর মাজেদি আটিয়া যাইরা, হনো জাকির নামর বড় এক ধনি মানুষ আছলা। এইন অইলা খাজনা তুলরা অকলর পরধান। ইছারে দেখার লাগি তান খুব খাইশ আছিল, অইলে তাইন বাট্টি মানুষ, এরদায় অতো ভিড়র মাজে দেখার উপায় অইলো না। অউ দৌড়িয়া আগেদি গেলা, গিয়া ইছা যে পথেদি আইরা অউ পথর কান্দার এক ডুমুর গাছো উঠলা। ইছা যেবলা হউ ডুমুর গাছর তলে আইলা, তাইন উপরেদি চাইয়া জাকিররে ডাক দিলা, “জাকির, জলদি লামিয়া আও। আমি আইজ তুমার বাড়িত রইতে অইবো।” জাকির লগে লগেউ লামিয়া আইলা। তাইন খুশি অইয়া ইছারে তাজিম করিয়া তান বাড়িত নিলা। ইতা দেখিয়া হকলে কানা-কানি করি কইলা, “তাইন কেনে এক নাফরমান বেটার বাড়িত রাইত কাটানিত গেলা?”
জাকিরে হকলর ছামনে উবাইয়া কইলা, “হুজুর দেখউক্কা, আমি অখনউ আমার ধন-ছামানার অর্ধেক গরিবরে লিল্লা দিলাইরাম। আর যেরার হক টগিয়া আনছি, তারারে চাইর অতখান ফিরত দিলাইমু।” তেউ ইছায় কইলা, “আইজ থাকি ই বাড়িত নাজাত আইছে। এইনও তো ইব্রাহিমর খান্দানর একজন। 10 অউ লাখান বে-পথি অকলরে তুকাইয়া বার করিয়া, তারারে বাচানির লাগিউ তো আমি বিন-আদম ই দুনিয়াত আইছি।”
রাজা আর দশ গুলামর কিচ্ছা
11 হজরত ইছায় তারার লগে অতা মাতিরা, অউ সময় তাইন জেরুজালেম থাকি থুড়া দুরই রইছইন। তারা মনো করলা, জেরুজালেম পৌছিয়াউ তাইন আল্লার বাদশাই জাইর করিলিবা। এরলাগি ইছায় তারারে অউ কিচ্ছা হুনাইলা, 12 “নবাব পরিবারর একজন বেটা মানুষ বউত দুরই এক দেশো সফরো গেলা। তান খিয়াল আছিল হনো গিয়া রাজা অইয়া ফিরত আইবা। 13 যাইবার আগে তান দশজন গুলামরে আনিয়া পরতেক জনরে একটা করি সোনার মহর দিয়া কইলা, আমি আইবার আগ পর্যন্ত অগুইনদি তুমরা কায়-কারবার করো।
14 “অইলে তান প্রজা অকলে তানরে পছন্দ করতা না। এরলাগি তারা তান খরে অইয়া গুইয়া পাঠাইয়া হউ বাদশারে জানাইলা, আমরা চাই না, এইন আমরার রাজা অউক্কা। 15 অইলেও তাইন রাজা বনিয়া ফিরত আইলা। আইয়া হউ যে দশজন গুলামরে তাইন মহর দিছলা, তারারে আনাইয়া জিকাইলা, কায়-কারবার করিয়া তারা কে কত লাভ করছইন। 16 পয়লা জনে আইয়া কইলো, হুজুর, আপনার এক মহরদি আমি দশ মহর রুজি করছি। 17 রাজায় তারে কইলা, ভালা করছো! তুমি তো ভালা গুলাম, তুমি খুব সামাইন্য বেয়াপারেও হক আছো। তে তুমি অউ দশ পরগনার উপরে জমিদারি করো। 18 দুছরা জনে কইলো, হুজুর, আপনার মহরদি আমি পাচ মহর রুজি করছি। 19 তাইন কইলা, তুমিও পাচ পরগনার উপরে জমিদারি করো। 20 বাদে আরক জনে কইলো, হুজুর, অউ নেউক্কা, আপনার হি মহর। আমি আপনারে ডরাইয়া আপনার মহর রুমালো বান্দিয়া থই দিছি। 21 আপনে তো কড়া মিজাজর মানুষ। জমা না করিয়াও আদায় করইন, খেত না করিয়াও ফসল কাটইন।
22 “তেউ রাজায় কইলা, ও খবিছ গুলাম! তোর মুখর কথায় আমি তোর বিচার করমু। তুই তো জানছউ আমি কড়া মিজাজর মানুষ, জমা না করিয়াও আদায় করি, খেত না করিয়াও ফসল কাটি! 23 তে আমার মহর তুই বেপারির গেছে থইলে না কেনে? তে তো আমি আইয়া মুল মহরর লগে কিছু লাভও পাইলাম অনে। 24 রাজায় তান উজির-নাজিররে কইলা, অগুর গেছ থাকি অউ মহর ফিরত আনো, আর যার দশ মহর আছে তারে দেও। 25 তেউ হকলে কইলা, হুজুর, তার তো এমনেউ দশ মহর আছে। 26 রাজায় কইলা, আমি তুমরারে কইরাম, যার আছে তারে আরো দেওয়া অইবো। যার নাই, তার যেতা আছে অতাও কাড়িয়া নেওয়া অইবো। 27 আর আমার যেতা দুশমনে চাইছইন না আমি রাজা অইতাম, অতারে অনো ধরিয়া আনিয়া আমার ছামনে মারিলাও।”
জেরুজালেম টাউনো হজরত ইছা (১৯:২৮-২১:৩৮)
হজরত ইছা জেরুজালেমো হামাইলা
28 অখান কইয়া হারি ইছায় তারার আগে অইয়া জেরুজালেমর বায় তশরিফ নিলা। 29 তাইন জয়তুন পাড়র কান্দাত বায়ত-ফাইজ্জা আর বায়ত-আনিয়া গাউর গালাত আইয়া হারলে, তান দুইজন সাহাবিরে অখান কইয়া পাঠাইলা, “তুমরা অউ ছামনর গাউত যাও। 30 গাউত হামাইয়াউ দেখবায়, এগু গাধার বাইচ্চা বান্দা আছে। অগুর উপরে কেউ কুনুদিন চড়ছে না। তুমরা অগুর বান খুলিয়া অনো লইয়া আইও। 31 কেউ যুদি জিকায়, ইগুর বান খুলো কেনে বা? তে কইও, হুজুরর গরজ আছে।”
32 যে সাহাবি অকলরে পাঠাইছলা, তারা গিয়া তান কথামতো হকলতা পাইলা। 33 তারা যেবলা গাধার বাইচ্চার বান খুলরা, অউ সময় মালিকে জিকাইলা, “ওবা, দড়ি খুলরায় কেনে?” 34 তারা কইলা, “হুজুরর গরজ আছে করি খুলরাম।” 35 বাদে গাধার বাইচ্চা লইয়া ইছার কান্দাত আইয়া, এরার গতরর চাদ্দরদি গাধার পিঠিত গদি বানাইয়া ইছারে বওয়াইলা। 36 তাইন যেবলা গাধা চড়িয়া পথেদি রওয়ানা দিলা, পথর মাজে মানষে তারার যারযির চাদ্দর বিছাই দিলা।
37 ইছা জেরুজালেমর কান্দাত জয়তুন পাড় থনে লামার পথো আইয়া আজিলা, অউ সময় তান উম্মত অকলও লগে আছলা, এরা তান যেতা কেরামতি কাম দেখছিলা, অতার লাগি তারা খুশিয়ে জুরে জুরে চিল্লাইয়া আল্লার তারিফ করিয়া কইলা,
 
38 “মুবারক হউ বাদশা, যেইন মাবুদর নামে তশরিফ আনরা।
বেহেস্তো শান্তি, আল্লার আরশো গৌরব!”
 
39 ভিড়র মাজে ফরিশি দলর কয়জনে ইছারে কইলা, “হুজুর, আপনার উম্মত অকলরে ধমক দেউক্কা।” 40 ইছায় কইলা, “আমি আপনারারে কইরাম, এরার মুখ বন্দ করিল্লেও, পাথর অকলে চিল্লাইয়া উঠবো।”
41 তাইন যেবলা জেরুজালেমর কান্দাত আইলা, অউ সময় জেরুজালেম টাউন দেখিয়া কান্দি দিলা। 42 তাইন কইলা, “হায়রে হায়! আইজ যুদি তুমি বুজতায়, শান্তি কিলা কাইম অয়! অইলে অখন ইতা তুমার চখুর আওড়ে রইছে। 43 তুমার উপরে ইলা সময় আজির অইবো, যেবলা দুশমন অকলে দেওয়ালর চাইরো গালাবায় মাটির টেকি বান্দিবো। তুমারে বেরিলিবো, আর হক্কলবায় আটক করবো। 44 তারা তুমারে আর তুমার পেটর আওলাদ অকলরে মাটির লগে মিশাইবো। তুমার এক পাথরর উপরে আরক পাথর রইতো নায়। কারন আল্লায় তুমারে বাচাইতা করি যে সুযোগ দিছইন, তুমি ই সময়-সুযোগরে চিনলায় না।”
জেরুজালেমর কাবা শরিফো হজরত ইছা
45 বাদে তাইন বায়তুল-মুকাদ্দছো হামাইলা। হামাইয়া হনো যেতায় ব্যবসা করাত আছলা, অতা হক্কলটিরে খেদাই দিলা। 46 তাইন কইলা, “পাক কালামো লেখা আছে, আমার ঘর অইবো মুনাজাতর ঘর, অইলে তুমরা ইখানরে ডাকাইতর আখড়া বানাইলিছো।”
47 হজরত ইছা পরতেক দিন বায়তুল-মুকাদ্দছো গিয়া নছিয়ত করতা। অউ সময় বড় ইমাম, মৌলানা আর সমাজর মুরব্বি অকলে তানরে মারিলিতা চাইলা। 48 অইলে কিলা তানরে মারা যায়, এর কুনু ফন্দি তারা পাইলো না। কারন হকল মানষে আশিক অইয়া দিলে-জানে তান বয়ান হুনতা।