13
কিয়ামতর আলামত
হজরত ইছা বায়তুল-মুকাদ্দছ থাকি বারইয়া যাওয়ার বালা তান একজন সাহাবিয়ে কইলা, “হুজুর, অউ দেখউক্কা, কত বড় বড় পাথরর ওয়াল আর সুন্দর সুন্দর দলান।” তাইন কইলা, “তুমি অউ যেতা বড় বড় দলান দেখরায়, ইতার দুই পাথর এখানো লাগাইল রইতো নায়, হকলতা ভাংগা অইযিবো।” বাদে তাইন যেবলা জয়তুন পাড়র উপরে বায়তুল-মুকাদ্দছ কাবা শরিফ মুখা বওয়াত আছলা, অউ সময় সাহাবি পিতর, ইয়াকুব, হান্নান আর আন্দ্রিয়াছে তানরে নিরালায় জিকাইলা, “হুজুর, আমরারে জানাউক্কা, ইতা কুন সময় অইবো? কুন আলামত দেখিয়া আমরা বুজমু, ইতা বিনাশ অওয়ার সময় আইচ্ছে?” তাইন কইলা, “দেখিও, কেউ যানু তুমরারে না টগে। বউত জনে আমার নাম ধরিয়া আইয়া কইবো, আমিউ হেইন, কইয়া বউতরে টগিবো। অইলে যুদ্ধর আওয়াজ আর লাড়াইর খবর হুনিয়া তুমরা ডরাইও না। ইতা নিচয় ঘটব, ঘটলেও ইতা তো শেষ নায়। এক জাতিয়ে আরক জাতির লগে, এক দেশে আরক দেশর লগে লাড়াই করবো। বউত জাগাত ভৈছাল আর নিদান দেখা দিবো। অইলে ইতা তো খালি মছিবতর শুরু।
“তুমরা নিজর বেয়াপারে হুশিয়ার রইও। মানষে তুমরারে ধরিয়া বিচারর আদালতো সমজাইবো। মছিদর ভিতরে তুমরারে ছিংলাদি মারা অইবো। আমার লাগি তুমরারে দেশর রাজা-বাদশার ছামনে নেওয়া অইবো। তুমরা এরার ছামনে আমার বেয়াপারে সাক্ষি দিবায়। 10 পয়লা দুনিয়ার তামাম জাতির গেছে আল্লার দেওয়া খুশ-খবরি তবলিগ করা জরুর। 11 তুমরারে ধরিয়া যেবলা বিচারো নেওয়া অইবো, অউ সময় কিতা জুয়াপ দিতায়, ইতা লইয়া আগে কুনু চিন্তা করিও না। হউ সময় তুমরারে যেতা হিকাইয়া দেওয়া অইবো, তুমরা অতাউ কইও। আসলে তুমরা তো হিনো মাততায় নায়, পাক রুহেউ মাতিবা। 12 ভাইয়ে ভাইরে, বাফে পুয়ারে জানে মারার লাগি ধরাই দিবো। পুয়া-পুড়িয়ে আপন মা-বাফর বিরুদ্ধে গিয়া, মা-বাফরে খুন করাইবো। 13 আর আমার লাগি হকলে তুমরারে ঘিন্নাইবো, অইলে হেশ পর্যন্ত যে টিকিয়া রইব, হে রেহাই পাইবো।
14 “যে তিলাওত করের হে বুজউক, বেজুইতা মছিবতর ঘিন্নার ই চিজ যে জাগাত আওয়ার কথা নায়, ই চিজরে যেবলা অনো দেখবায়, অউ সময় যেরা এহুদিয়া জিলাত আছইন, তারা বাগিয়া পাড়িয়া এলাকাত যাউক। 15 ছাতর উপরে যেরা রইবা, তারা লামাত লামিয়া কুন্তা নেওয়ার লাগি ঘরর ভিতরে আর না হামাউক। 16 খেতর মাজে যেরা রইবা, তারার গতরর চাদ্দর নেওয়ার লাগি বাড়িত না আউক। 17 অউ সময় যেতা বেটিন্তর হুরুতা অইতা, আর যেরা হুরুতারে বুকুর দুধ খাওয়াইরা, তারার বড় জবর মছিবত অইবো। 18 তুমরা দোয়া করো, ইতা যানু শীতর দিনো না অয়। 19 অউ সময় তো অতো বেজুইতা কষ্ট অইবো, যেতা দুনিয়ার পয়লা থনে আইজ পর্যন্ত কুনুদিন অইছে না, আর কুনুদিন অইতোও নায়। 20 মাবুদে যুদি ই সময়রে কমাইয়া না দিতা, তে কেউ জিন্দা রইলো না অনে। অইলে আল্লায় তান পছন্দ করা বন্দা অকলর লাগি ই সময় কমাই দিছইন। 21 হি সময় কেউ যুদি তুমরারে কয়, হুনছো নি, আল-মসী অনো আইছইন, বা দেখো, অউনু তাইন, তে তুমরা ইতা একিন করিও না। 22 কারন বউত ভন্ডয় আইয়া কইবো, আমিউ আল-মসী, আর বউত ভন্ড নবীও আইবা। সম্ভব অইলে তারা আল্লার পছন্দ করা বন্দা অকলরেও ধুকা দিয়া বে-পথে নিতা করি বউত কেরামতি-মোজেজা দেখাইবা। 23 অইলে তুমরা হুশিয়ার রইও, আমি তো তুমরারে আগেউ ইতা হাল-হকিকত জানাই দিলাম।
24 “অউ মছিবতর সময় পারনির বাদে,
 
সুরুজ আন্দাইর অইযিবো,
চান্দে আর ফর দিতো নায়।
25 তেরা অকল আছমান থাকি খুলিয়া পড়িযিবো,
আছমানর কুনু শক্তিআলা চিজউ
ঠিক-ঠাক রইতো নায়।
 
26 অউ সময় মানষে দেখবা, বিন-আদমে আল্লার কুদরতি জালাল আর শান-তজল্লিয়ে, মেঘর টুকরাত অইয়া দুনিয়াত তশরিফ আনরা। 27 তাইন ফিরিস্তা অকলরে দুনিয়ার এক মাথা থাকি আরক মাথাত পাঠাইয়া, আল্লার পছন্দ করা বন্দা অকলরে চাইরোবায় থনে দলা করবা।
28 “ডুমুর গাছর বায় চাইয়া ইলিম কামাই করো। গাছর ডালপালা নরম অইয়া যেবলা নয়া কুড়ি বারয়, অউ সময় তুমরা বুজিলাও গরমর দিন আইচ্ছে। 29 তে অউ লাখান তুমরা যেবলা দেখবায় ইতা হকলতা ঘটের, দেখিয়া বুজিলিও, বিন-আদমও ধারো আইচ্ছইন। খালি ধারো নায়, তাইন আইয়া দুয়ারো ঠুকাইরা। 30 আমি তুমরারে হক কথা কইরাম, ইতা না ঘটা পর্যন্ত ই জমানার মানুষ ফুড়াইতা নায়। 31 আছমান-জমিন হকলতা বিনাশ অইযিবো, অইলে আমার কালাম হামেশা কাইম রইবো।
32 “হউ দিন আর হি সময়র বেয়াপারে খালি আমার গাইবি বাফ বাদে আর কেউ জানইন না। আছমানি ফিরিস্তা বা খাছ মায়ার জনেও জানইন না। 33 তুমরা হুশিয়ার অও, খিয়াল করি চলো আর দোয়া করো। হি দিন কুন সময় আইবো, তুমরা কেউ তো জানো না। 34 অলা এক মানষর লাখান হি দিন আইবো, যেইন বিদেশ যাওয়ার সময় তান গুলাম অকলর আতো হকলতা সমজাই দিয়া যারযির কাম বুজাই দিলা। আর চকিদাররে কইলা হজাগ রইতো। 35 তুমরাও অউলা হজাগ রইও। বাড়ির মালিক কুন সময় আইবা, হাইঞ্জা বালা, মাজ রাইতে, পতাবালা না ফজরে আইবা, ইখান তো তুমরা কেউ জানো না। 36 তাইন আখতা আইলে যানু না দেখইন, তুমরা ঘুমাই রইছো। 37 আমি তুমরারে যেলা কইলাম, হকলরেউ অউলা কইরাম, হজাগ রও।”