20
আংগুর বাগানর গিরস্তর কিচ্ছা
হজরত ইছায় আরো কইলা, “বেহেস্তি বাদশাই তো অলা এক গিরস্তর লাখান। ই গিরস্তে তান খেতর কামর লাগি খুব বিয়ানে উঠিয়া কামলা তুকানিত গেলা। গিয়া কামলা চাইয়া তারারে একশো টেকা রোজ ফুড়াইয়া তান আংগুর বাগানো কামো লাগাইলা। কিছু বেইল অইয়া হারলে তাইন হিরবার বারইলা, বারইয়া দেখলা আরো কয়জন কামলা বেকার উবাই রইছইন। দেখিয়া কইলা, ‘তুমরাও গিয়া আমার বাগানো কামো লাগো, আমি তুমরারে উচিত টেকা দিমু।’ তেউ তারা গিয়া কামো লাগলা। অলাখান বেইল দুইফরি বালা আর জোহরর বাদে গিরস্ত হিরবার বারইয়া গিয়া আরো কামলাইন আনিয়া কামো লাগাইলা। হেশে বিয়ালি বালা তাইন বারে গিয়া, আরো কামলাইন উবাই রইছইন দেখিয়া কইলা, ‘তুমরা হারাদিন ধরি ইনো উবাই রইছো কেনে?’ এরা কইলা, ‘ছাব, আমরা কুনু কাম পাইছি না।’ গিরস্তে কইলা, ‘তুমরাও গিয়া আমার বাগানো কামো লাগো।’
“হাইঞ্জা বালা গিরস্তে তান নিজর চাকররে কইলা, ‘ওবা, বাগানর অউ কামলাইন্তরে আনিয়া, শেষর জন থাকি পয়লা জন পর্যন্ত হকলর রোজ দিলাও।’ বিয়ালি বালা যেরা কামো লাগছিল, তারা একশো করি পাইলো। 10 ইতা দেখিয়া পয়লা যারা কামো লাগছিল, তারা মনো করলো তারা আরো বেশি টেকা পাইবো, অইলে গিরস্তে এরা হকলরে এক হমান রোজ দিলা। 11 এরদায় পয়লা দল অউ গিরস্তর উপরে বেজার অইয়া কইলা, 12 ‘আমরা হারা দিন ধরি রইদে জলি-পুড়ি কাম করিয়া একশো টেকা পাইলাম। অইলে তারা হেশে আইয়া থুড়া সময় কাম করায়ও, আপনে তারারে আমরার হমান টেকা দিলা।’
13 “তেউ গিরস্তে তারার একজনরে কইলা, ‘ওবা, আমি অইন্যায় কুন্তা করছি নি, তুমি নিজেউ তো একশো টেকায় কাম করতে রাজি অইছো না নি? 14 অখন তুমার পাওনা লইয়া তুমি যাও। আমি আমার নিজর ইচ্ছায় হকলরে এক হমান দিছি। 15 আমার নিজর ছামানা, নিজর ইচ্ছামতো খরচ করার অধিকার নাই নি? আমি তারারে দয়া করায় তুমার চখুত জলের নি?’ ”
16 অউ কিচ্ছা হুনানির বাদে ইছায় কইলা, “বুজছো নি, যেরা খরর কাতারো আছে তারা আগে আইবো, আর আগর কাতারর তারা খরে যাইবো।”
তিছরা বার নিজর মউতর আগাম খবর
17 বাদে তাইন যেবলা জেরুজালেম মুখা রওয়ানা অইযিতা, অউ সময় তান বারোজন সাহাবিরে আলগা হরাইয়া নিয়া কইলা, 18 “হুনো, আমরা অখন জেরুজালেম যাইরাম। হনো আমি বিন-আদমরে ধরিয়া বড় ইমাম আর মৌলানা অকলর আতো সপি দেওয়া অইবো। তারা বিচার করিয়া কাতল করার রায় দিবা। 19 আমারে ভিন-দেশি অকলর আতো সমজাইবা। তারা আমারে ঠাট্টা-মশকরা করিয়া, বেজুইতা চাবুক মারিয়া, লাকড়ির সলিবো লটকাইয়া কাতল করবা। মউতর তিন দিনর দিন আমি হিরবার জিন্দা অইয়া উঠমু।”
মন্ত্রী অওয়ার লাগি অনুরোধ
20 বাদে জিবুদিয়ার দুইও পুয়ারে লইয়া তারার মাʼয় ইছার গেছে আইলা। আইয়া কুন্তা চাওয়ার আশায় তান পাওয়ো পড়লা। 21 ইছায় বেটিরে জিকাইলা, “আপনে কিতা চাইন?” বেটিয়ে কইলা, “হুজুর, আমার এগু পুয়ারে আপনার রাজত্বর ডাইনর গদি, আর আরোগুরে বাউর গদিখানো বইবার সুযোগ দিবা নি?”
22 ইছায় তারারে জুয়াপ দিলা, “তুমরা তো বুজরায় না, তুমরা কিতা চাইরায়। আমি যে দুখ-মছিবতর পিয়ালাদি খাইমু, ইতা কুনু তুমরা খাইতায় পারবায় নি?” তারা কইলা, “জিঅয়, পারমু।” 23 তাইন কইলা, “আইচ্ছা, আমি যে পিয়ালাদি খাইমু তুমরাও অউ পিয়ালাদি খাইবায়, অইলে আমার ডাইনে বা বাউয়ে বওয়ানির এখতিয়ার তো আমার আতো নায়। আমার বেহেস্তি বাফ আল্লায় যারার লাগি ই গদি ঠিক করছইন, খালি তারাউ পাইবা।”
24 জিবুদিয়ার দুইও পুয়ার আরজি হুনিয়া, বাকি দশোজন সাহাবি এরার উপরে খুব বিরক্ত অইলা। 25 তেউ ইছায় এরা হকলরে কান্দাত আনিয়া কইলা, “তুমরা তো জানো, বিধর্মী জাতির রাজা অকল তারার প্রজার উপরে হুকুম জারি করে, আর তারার জমিদার অকলে গুলামর উপরে বেটাগিরি করে। 26 অইলে তুমরার মাজে তো ইলা অওয়া ঠিক নায়। তুমরার কেউ দামি বনতে চাইলে, হে তুমরার খেজমত করউক। 27 আর কেউ বড় অইতে চাইলে, হে হকলর গুলামি করউক। 28 মনো রাখিও, আমি বিন-আদমেও খেজমত পাওয়াত আইছি না, আইছি তো খেজমত করাত। আর বউত মানষর জান বাচানির লাগি, নিজর জান বিলাই দেওয়াত আইছি।”
হজরত ইছায় দুই জন আন্দারে ভালা করলা
29 হজরত ইছায় তান সাহাবি অকলরে লইয়া যিরিহো টাউন থাকি রওয়ানা অইগেলা, অউ সময় বউত মানুষ তান খরে খরে গেলা। 30 যাওয়ার সময় পথর কান্দাত দুই আন্দা বেটা বওয়াত আছিল। তাইন অউ পথেদি যাইরা হুনিয়া তারা জুরে জুরে চিল্লাইয়া কইলো, “ও হুজুর, ও দাউদ নবীর আওলাদ, আমরারে রহম করইন।” 31 চিল্লানি হুনিয়া অনর মানষে তারারে ধমক দিলা। অইলে তারা আরো জুরে জুরে চিল্লাইয়া কইলো, “ও হুজুর, ও দাউদ নবীর আওলাদ, আমরারে রহম করইন।”
32 এরার চিল্লানি হুনিয়া তাইন উবাই গেলা, উবাইয়া অউ দুইও আন্দারে কান্দাত আনাইয়া জিকাইলা, “কিতাবা, কিতা চাও? আমি তুমরারে কিতা করতাম?” 33 তারা কইলো, “হুজুর, আমরার চউখ গুইন ভালা করি দেউক্কা।” 34 ইখান হুনিয়া তান দরদ হামাই গেল। তাইন তারার চউখ আতাই দিলা, লগে লগেউ তারার চউখ ভালা অইগেল। বাদে তারাও তান খরে খরে রওয়ানা অইলো।