নেতা অকলরে হজরত ইছার হুশিয়ারি (২৩:১-২৫:৪৬)
23
মৌলানা অকলর লাগি আফছুছ
হজরত ইছায় তান লগর মানষরে আর সাহাবি অকলরে কইলা, “মুছা নবীর শরিয়ত তালিম দিবার এখতিয়ার তো মৌলানা আর ফরিশি অকলর আতো। এরলাগি তারা যেতা কইন, অতা মানিও, আর যেতা আমল করার হুকুম দেইন, অতা আমল করিও। অইলে তারা নিজে যেতা করইন, তুমরা ইতা করিও না। কারন, তারা মুখ দিয়া যেলা কইন, ইলা কাম করইন না। তারা আম মানষর কান্দো বড় বড় গাইট তুলিয়া দেইন, অইলে সাইয্যর লাগি তারা একটা আংগুলও লাড়াইন না। তারা খালি মানষরে দেখানির লাগি হকলতা করইন। আল্লার কালামর আয়াত দিয়া বড় বড় তাবিজ বান্দইন আর নিজর পরেজগারি দেখানির লাগি লাম্বা লাম্বা পাউগড়ি বান্দইন। তারা খানির মজলিছো ভালা ভালা জাগা তুকাইন আর মছিদো হামাইয়া ছামনর কাতারো বইতা চাইন। বাজার-আটো গিয়া ছালাম পাইতে খুব পছন্দ করইন, আর চাইন মানষে তারারে হুজুর হুজুর করউক।
“অইলে তুমরারে কেউ হুজুর হুজুর করউক, ইতা আশা করিও না। তুমরার আসল হুজুর তো খালি একজনউ আছইন, তুমরা খালি ভাই ভাই রইও। ই দুনিয়াত কেউররে বাবা কইয়া ডাকিও না, কারন তুমরার বাতুনি বাফ তো একজনউ, তাইন বেহেস্তো আছইন। 10 কেউ তুমরারে নেতা কইয়া ডাকউক, ইতা আশা করিও না। তুমরার নেতা তো একজনউ, তাইন অইলা আল-মসী।
11 “তুমরার মাজে যেইন হকল থাকি বড়, এইন তুমরার খেজমত করউক। 12 যে জনে নিজরে বড় মনো করে, তারে হুরু করা অইবো। আর যে নিজরে হুরু মনো করে, তারে বড় করা অইবো।
13 “হায়রে মৌলানা আর ফরিশির দল, আফছুছ তুমরার লাগি, তুমরা ভন্ড! তুমরা মানষর ছামনে বেহেস্তি বাদশাইর দুয়ার বন্দ করি থইছো। তুমরা নিজেও অনো হামাইরায় না, মানষরেও হামাইতে দিরায় না। 14 হায়রে ভন্ড মৌলানা আর ফরিশির দল, মানষরে দেখানির লাগি তুমরা লাম্বা লাম্বা দোয়া করো, হিরবার ড়াড়ি বেটিন্তর জাগা-মিরাসও দখল করো। এরলাগি তুমরার কঠিন সাজা অইবো। 15 হায়রে ভন্ড মৌলানা আর ফরিশির দল! একজন মানষরে তুমরার দলো নিবার লাগি সাত সমুদ্র তের নদী পার অইয়া তুমরা দৌড়াও। অইলে হে তুমরার দলো হামাইয়া হারলে, তারে তুমরা থাকি আরো বড় দোজখি বানাও।
16 “হায়রে আন্দা পথ দেখাওরা! তুমরা নিজে আন্দা অইয়া অইন্যরে কিলা পথ দেখাও? তুমরা তো কও, বায়তুল-মুকাদ্দছর নামে কছম খাইলে কুন্তা অয় না, অইলে বায়তুল-মুকাদ্দছর সোনার নামে কছম খাইলে মানতে অইবো। 17 হায়রে আন্দা বেআখলর দল, কুনখান বড়? বায়তুল-মুকাদ্দছ, না সোনা? বায়তুল-মুকাদ্দছেউ তো অউ সোনারে পাক-পবিত্র করে। 18 হিরবার তুমরা কও, কুরবানি খানার নামে কেউ কছম করলে কুন্তা অয় না, অইলে কুরবানির চিজর নামে কছম করলে মানতে অইবো। 19 ও আন্দা অকল, কুনখান বড়? কুরবানি খানা, না কুরবানির চিজ? অউ কুরবানি খানায়উ অউ চিজরে পাক-পবিত্র করে না নি? 20 এরলাগি যে জনে কুরবানি খানার নামে কছম করে, হে কুরবানি খানা আর কুরবানির চিজ, ই দুইওতার নামেউ কছম করে। 21 অলাউ বায়তুল-মুকাদ্দছর নামে যে জনে কছম করে, হে-ও বায়তুল-মুকাদ্দছ আর এর ভিতরে যেইন থাকইন, তান নামেউ কছম করে। 22 যে জনে বেহেস্তর নামে কছম করে, হে আল্লার আরশ আর আরশো যেইন আছইন, তান নামেউ কছম করে।
23 “হায়রে ভন্ড মৌলানা আর ফরিশির দল! তুমরা গুয়ামুরি, পদিনা পাতা, আর জিরার দশ বাটর এক বাট আল্লার ওয়াস্তে যকাত দিরায়, অইলে মুছা নবীর শরিয়তর হুকুম মাফিক আরো জরুরি বেয়াপার, মানি হক ইনছাফ, দয়া আর আল্লার মহব্বত তুমরা বাদ দিলাইছো। তে পয়লা হুকুম আমল করার লগে লগে বাদরতাও আমল করা জরুর। 24 তুমরা নিজেউ আন্দা, অথচ আরক জনরে পথ দেখাইরায়। তুমরা এগু মশাও ছাকিয়া তুলো, অইলে উটরে গিলিলাও।
25 “হায়রে ভন্ড মৌলানা আর ফরিশির দল! তুমরা তো বাসন-বর্তনর বারগালা ভালা করি ছাফ করো, অইলে ইতার ভিতর গালা জুলুম আর লোভ-লালছে ভরা। 26 হায়রে আন্দা ফরিশির দল, তুমরা পয়লা অতার ভিতর ছাফ করো, তেউ বারগালা এমনেউ ছাফ অইবো।
27 “হায়রে ভন্ড মৌলানা আর ফরিশির দল! তুমরা অইলায় চুন-কাম করা কয়বরর লাখান, এর বারগালা চকচকা অইলেও ভিতরে তো খালি মরা মানষর আড্ডি-গুড্ডি আর খাছরায় ভরা। 28 ঠিক অউ লাখান, মানষে মনে করইন তুমরা খুব পরেজগার, আসলে তুমরার দিল তো ভন্ডামি আর নাফরমানিয়ে ভরা।
29 “হায়রে ভন্ড মৌলানা আর ফরিশির দল! তুমরা নবী অকলর রওজারে সুন্দর করি পাক্কা করো, আর অলি-আউলিয়ার মাজাররে চকচকা করি হাজাও। 30 আর তুমরা কও, ‘ইস, আমরা যুদি আমরার বাফ-দাদার জমানাত দুনিয়াত আইতাম, তে নবী অকলরে কাতল করার বালা বাফ-দাদার লগে গেলাম না অনে।’ 31 অউ মাতে তুমরা পরমান দিরায়, নবী অকলরে যেতায় কাতল করছলা, অতার বংশধরউ তুমরা। 32 তে তুমরার বাফ-দাদাইন্তে যেতা শুরু করিয়া গেছইন, তুমরা অতার বাকি গালা পুরা কররায়।
33 “ও হাফর বাইচ্চাইন, দোজখর আজাব থাকি তুমরা কিলা বাচতায়? 34 এরলাগি আমি তুমরার গেছে নবী-রছুল, আর আলিম-উলামা পাঠাইয়ার। এরার মাজর কয়জনরে তুমরা কাতল করবায়, কয়জনরে দুখ-কষ্টর সলিবো লটকাইয়া মারবায়। আর কয়জনরে তুমরার মছিদো হারাইয়া চাবুক মারিয়া, এক গাউ থাকি আরক গাউত খেদাইয়া নিবায়। 35 এরদায়উ নির্দুষি হউ হাবিলর লউ থাকি বারাখিয়ার পুত জাকারিয়ারে কাতল করা পর্যন্ত, দুনিয়াত যতো খুন-খারাপি অইছে, ইতা হকল খুনর দায়ি অইবায় তুমরা। অউ জাকারিয়ারে তো বায়তুল-মুকাদ্দছর ভিতরর কুরবানি খানা আর খাছ পাক জাগার মাজখানো কাতল করা অইছিল। 36 আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম, অউ তামাম খুনর দায়ি অইবায় ই জমানার মানুষ।
জেরুজালেমর লাগি আফছুছ
37 “জেরুজালেম! হায়রে জেরুজালেম টাউন! তুমি নবী অকলরে কাতল করো, তুমার গেছে যারারে পাঠাইল অয়, তুমি তারারে পাথর মারো। মুরগিয়ে যেলা তাইর বাইচ্চারে ডাখনার তলে আশ্রয় দেয়, আমিও অউলা তুমার মানষরে আশ্রয় দিতাম চাইছি, অইলে তারা হুনলা না। 38 ও জেরুজালেমর বাসিন্দা অকল, তুমরার চখুর ছামনেউ তুমরার বসত খানা খালি বাড়ি অইবো। 39 আমি তুমরারে কইরাম, যতদিন তুমরা ইখান না কইবায়, ‘মুবারক তাইনউ, আল্লার নাম লইয়া যেইন আইরা,’ অতো দিন তুমরা আর আমারে দেখতায় নায়।”